লেখকের কথা ‘কবি তব মনোভূমি রামের জন্মস্থান অযোধ্যার চেয়েও সত্য জেনো।’ অর্থাৎ লেখকের কল্পনাশক্তি বাস্তবের চেয়ে কম নয়। লেখকরা স্বপ্ন দেখতে পারেন, স্বপ্ন দেখাতে পারেন। আমি লেখক নই। আমি ভ্রমণের গল্প বলতে এসেছি। লেখার ক্ষেত্রে আমার পারসেপশন ‘যা দেখি তাই লিখি’। সাথে নিজের ভিজ্যুয়ালাইজেশন আর ব্যক্তিগত অনুভূতির মিশেল। দশদিনে ইউরোপের চারটি দেশের প্রখ্যাত নগর প্যারিস, লুক্সেমবার্গ, ব্রাসেলস, আমস্টারডাম, রটারডাম, দ্য হেগ ভ্রমণ শেষে ইস্তাম্বুলে পদচিহ্ন রেখেছি। সেই অর্থে দেশের সাথে, দেশের মানুষের সাথে, কৃষ্টি কালচারের সাথে গভীরভাবে জড়ানোর সুযোগ হয়নি। তবে ক্ষণিকের দেখায় একটা সাময়িক ধারণার ফ্রেম তৈরি করেছি। এভাবে একের পর এক ছোট ফ্রেম সাজিয়ে একটা আবছা অবয়ব তৈরির চেষ্টা করেছি। সেই অবয়ব নিয়েই হাজির হয়েছি। সরকারি সফরের নির্ধারিত অফিসিয়াল প্রশিক্ষণ শেষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্বল্প সময়ে দলগত ভ্রমণ করা হয়েছে। অবধারিতভাবে সিনিয়র স্যার ও দলের অন্যান্য সদস্য গল্পে এসেছেন সহযাত্রী হিসেবে। গল্পের খাতিরে কারও যেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন না হয় সে বিষয়ে মনোযোগী হবার চেষ্টা করেছি। গল্পের ঘটনাপ্রবাহে কিছু প্রখ্যাত স্থাপনা, শিল্পকর্ম, বিখ্যাত ব্যক্তির স্মরণীয় ঘটনা সন্নিবেশিত হয়েছে যার বস্তুনিষ্ঠতার ব্যাপারে মনোযোগী হবার চেষ্টা করেছি। স্থাপনা, শিল্প, সৌন্দর্যের প্রকৃত রূপ ভ্রমণেই উপভোগ করা যায়। ভ্রমণ কাহিনি পাঠে তার রস সামান্যই আস্বাদন করা যায়। তবুও এই ভ্রমণ গল্প পাঠ যদি আপনার চিন্তার দিগন্তকে প্রসারিত করে, বা আপনার চিত্তকে ভ্রমণে উৎসাহিত করে তবেই এই লেখা সার্থক বলে আমি মনে করি। ফারুক রহমান ঢাকা, ২০২২
ফারুক রহমান নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন | বাবা : মাে. লুত্যর রহমান। মা : মােসা. গুলনাহার বেগম তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) হতে পুরকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস হতে এমবিএ (ফিন্যান্স) ডিগ্রি | অর্জন করেন। বিসিএস গণপূর্ত ক্যাডারের ৩৪তম ব্যাচের সদস্য হিসেবে বর্তমানে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। ঐতিহ্য, ভ্রমণ ও শিল্পের প্রতি লেখকের বিশেষ অনুরাগ রয়েছে।