প্রথম ফ্ল্যাপের লেখাঃ অতীতে বার্তা বাহকের গুরুত্ব ছিলো হীরের মতো। যুগ অতিবাহিত শত শত বছর বার্তা বাহকের মাধ্যমে বিশ্বের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আদান-প্রদান করা হতো। ইদানিংকালে দেখা যায় অতীতকে ভুলে আমরা নতুনভাবে খুঁজে বেড়াই। যেখানে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে কম করে হলেও ৭-২১ দিন সময় লেগে যেতো। অথচ আজকাল ইন্টারনেটের ডিজিটাল যুগে এসে একটি বার্তা পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৩-৫ সেকেন্ড। এমন কী আমরা নিমিষেই ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখতে পাই প্রতিনিয়ত কি হচ্ছে। যা বার্তায় জানা যেতো, তা এখন ডিজিটাল বার্তায় সরাসরি দেখে নিই। এইতো সে দিনও দেখেছি একটি চিঠির কতোটা গুরুত্ব বা আনন্দের। শূন্য দশকের শেষভাগে শুরু হয় ডিজিটাল বার্তার মাধ্যম। শূন্য এক দশক পেরিয়ে শূন্য দুই দশকে আমরা প্রতিটি নিশ্বাসে দেখি বা আনন্দ লাভ করি ডিজিটাল অনুভবে। আর বার্তা বাহক বা চিঠি ৭৫ ভাগ বিলুপ্তের পথে। কুরিয়ার সার্ভিস চালুর পর যতোটা না ছিলো ডাক যোগে বার্তা পাঠানের চাহিদা, তা ই-মেইলের যুগ এসে একাদশ সময় থেকে এগোতে এগোতে একুশবিশে মোটেও নেই। বিভিন্ন সময় বিভন্ন লেখক তাদের মতো করে চিঠি পত্রের বার্তা বাহককে সম্মান করতেন। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম অনুবাদক, গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের শ্রদ্ধেয় স্যার সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান স্যার তার গবেষণার ডাক টিকিট ডকুমেন্টারি বইয়ের মাধ্যমে কিছু স্মৃতিকে আগলে রাখতে দেখেছি। তেমনই দেখেছি লেখক মানবিক সীমানা'র গল্পগ্রন্থ 'চিঠি ও তেরেজা' গ্রন্থের বিভিন্ন লাইনে ফুটে উঠে। দেশে-বিদেশের একটি চিঠি কতোটা অমূল্য একজন মানুষের কাছে। যা ডিজিটাল বার্তায় প্রাণহীন। তাতে নেই মনের স্বাদ, নেই কোনো সাধারণ মানুষের উপকারিতা। অন্যের উপর নির্ভশীল করে থাকা হলো ই-মেইল। আর প্রাণ, স্বাদ, উপকারিতা, আত্মনির্ভরশীল নিয়ে সরলতার সাথে পথচলা হলো চিঠি। আপনারা চিঠি গল্প পড়ুন চিঠি নিয়ে ভাবুন। চিঠি গল্পের জয় হউক।