'পত্র-মিতালী' বিভাগের চিঠিগুলোর মধ্য থেকে একটি খাম খুলেছি, চিঠির সঙ্গে বেরিয়ে এল একটি চিরকুট! দেখে, আচমকা একটা শিহরণে চমকে উঠলাম আমি। সঙ্গে আবার মিষ্টি একটি শুভেচ্ছা-বার্তা, আরেকটি টুকরো কাগজে! পাঠক-পাঠিকারা এ বিভাগে চিঠি পাঠায় তাদের নাম, জন্ম-তারিখ, শখ ও ঠিকানা উল্লেখ ক'রে তা এই বিভাগে ছাপানোর আবেদন জানিয়ে; যাতে সমমনা আগ্রহীরা একে অপরের সঙ্গে পত্র-মিতালী করতে পারে। কিন্তু, আমার হাতের চিঠিটির সঙ্গে অতিরিক্ত একটি চিরকুট ও মিষ্টি একটি শুভেচ্ছা-বার্তা! দু'টোই আমাকে সম্বোধন করে, আমারই উদ্দেশে লেখা। চিরকুট ও শুভেচ্ছা-বার্তাটি ঝলক-দৃষ্টিতে প'ড়ে ফেলায় আমি চকিতে তাকালাম আশেপাশে। কলিগদের মধ্যে কেউ আবার লক্ষ করল কি-না!... না, কেউই খেয়াল করেনি। পরক্ষণেই কাজে স্বাভাবিক হওয়ার ভান ক'রে সতর্কতার সঙ্গে আড়াল করলাম শিহরণ জাগানো কাগজের টুকরো দু'টি। পাঠক-পাঠিকাদের চিঠি-পত্রগুলো ফার্স্ট-শিফটেই সর্ট-আউট ক'রে টেবিলে জমা ক'রে রেখেছিলাম। লাঞ্চ-আওয়ারের পর টেবিলে ফিরে সে-গুলো নিয়ে বসেছি এইমাত্র। মাসিক 'কিশোর কানন' পত্রিকার চিঠি-পত্র ভিত্তিক সবগুলো বিভাগেরই চিঠি রয়েছে এখানে। সবচে' বেশি সংখ্যক চিঠি থাকে সাধারণত 'পত্র-মিতালী' বিভাগের।