ইসরাত জাহান ঝুমের কবিতা অনেকটা তার পেইন্টিংয়ের মতোই এক ব্যাখ্যাতীত বিষাদমগ্ন ভুবনের ভাষাচিত্র! ইসরাতের এই ভাষা এবং ভাষাতীত অভিজ্ঞতার ভুবন রক্ত বা সন্ত্রাস বা সঙ্গম, এমনকি শিৎকারে একাকার মনে হবে, তবে সব ছাপিয়ে অথবা সবকিছুর মধ্যেই ছলকে ছলকে উঠতে দেখা যাবে এক সিলভিয়ান (সিলভিয়া প্লাথ) দুর্বহনীয় দুঃখবোধ, এক মর্মভেদী হাহাকার! এই হাহাকারই কি একবিংশ শতকের প্রায় সব মানুষের এক অনপনীয় নিয়তি নাকি এর সঙ্গে মিশে আছে নারীত্বের একান্ত অভিজ্ঞতাও? এই উত্তরের জন্যও আমাদের পাঠ করতে হবে ইসরাত জাহানের কবিতা কোনোরকম প্রচলিত প্রপঞ্চ, সিদ্ধান্ত- অনুসিদ্ধান্ত ইত্যাদিতে আক্রান্ত না হয়ে। তার একেবারেই প্রাতিস্বিক অভিজ্ঞতা তো বটেই, কবিতাগুলো পাঠ করতেই আমরা পরিচিত হবো সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং অপ্রচলিত ভাষা বা স্বর নির্মাণের এক অদম্য প্রয়াসের সঙ্গেও। ইসরাত যেমন বলেন, কবিতা আমি লিখিনি, কবিতারাই আমাকে লিখে গেছে। ফলে আমরা বুঝে যাই এই কবিতাগুলো ফ্রিডা কাহলোর চিত্রশিল্পের মতোই আত্মজৈবনিক এবং এজন্যেই এই কবিতাগুলো খানিকটা ওরাকল বা পয়গম্বরের ওহী এবং একইভাবে অকৃত্রিম, খুব স্বতস্ফূর্ত! আসুন, পাঠ করি ইসরাত জাহান ঝুমের কবিতা।