তবুও সুখী উপন্যাসটি মূলত একটি পারিবারিক ও সামাজিক উপন্যাস। এতে উঠে এসেছে মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বিরহ, জন্ম-মৃত্যু। এখানে বিভিন্ন চরিত্রের অবতারণা করা হয়েছে। তারমধ্যে অনেক যুগল চরিত্র রয়েছে, যারা প্রথম জীবনে বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পার করে সুখের সন্ধান করেছে। কিন্তু প্রকৃত সুখ তাদের ভাগ্যে মেলেনি। কেন্দ্রীয় চরিত্র ইরা সারা জীবন যে রকম মানুষকে স্বামী হিসেবে কল্পনা করেছে, বিয়ে হয় তার সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের মানুষের সঙ্গে। কিন্তু বাস্তবতার পরীক্ষায় ইরাকে আবার বিবাহবন্ধকে আবদ্ধ হতে হয় তারই আপন দেবরের সঙ্গে। যেখানে ইরা পুরোপুরি সুখ খুঁজে পায়। ইরা-ইমন, ইতি-আসিফ, আঁখি-মিলন সবাই প্রথম জীবনে চরম বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেলেও শেষ চরম পর্যন্ত জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়। সকল চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে তারা সক্ষম হয়। সব যুগল সুখের সাগরে ভাসতে থাকে। প্রকৃত প্রেমের জয় হয়। উপন্যাসটি পাঠকদের বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরও যে সুখ খুঁজে নেওয়া যায়, তা বুঝতে অনুপ্রাণিত করবে। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক হলেও পাঠকদের কাছে তা জীবন্ত হয়ে ধরা দেবে।