নাসির উদ্দীন ইউসুফ মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক পরিচিত মুখ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা উত্তর মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বাংলাদেশের নবনাট্য আন্দোলনের তিনি পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তাঁর লেখা গ্রন্থ ৩টি। ‘টিটোর স্বাধীনতা’, ‘ঘুম নেই’ এবং নাটক ‘একাত্তরের পালা’। দেশে-বিদেশে তিনি অসংখ্য সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। ১৪৫৭ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ [১৯৫০ সালের ১৫ এপ্রিল] জন্মগ্রহণকারী নাসির উদ্দীন ইউসুফের বাবা আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ ইউসুফ ও মা বেগম শামসুন নাহার। ১০ ভাইবোনের মাঝে তিনি সপ্তম। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর স্ত্রী শিমূল ইউসুফ একজন স্বনামধন্য অভিনয় ও সংগীতশিল্পী। একমাত্র কন্যা এশা ইউসুফ। তিনি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি ও ঢাকা থিয়েটারের পরিচালক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের পরীক্ষক তিনি। বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত একুশে পদকসহ দেশ- বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ’ষিত হয়েছেন। তাঁর নির্দেশিত উল্লেখযোগ্য নাটক: মুনতাসির, শকুন্তলা, কিত্তনখোলা, কেরামতমঙ্গল, হাতহদাই, যৈবতী কন্যার মন, বনপাংশুল, প্রাচ্য, বিনোদিনী, নিমজ্জন, দ্য টেম্পেস্ট। পরিচালিত চলচ্চিত্র : একাত্তরের যীশু, গেরিলা ও আলফা। রুবাইয়াৎ আহমেদ জন্ম নেত্রকোণায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় থেকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ২০১২ সালে অর্জন করেছেন পিএইচ.ডি. ডিগ্রি। বর্তমানে ওই বিভাগেই শিক্ষকতা করছেন। যুক্ত রয়েছেন ঐতিহ্যবাহী নাট্য সংগঠন ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে। প্রকাশিত গ্রন্থ নির্বাচিত কবিতা [হ্যারল্ড পিন্টার ও ইসমাইল কাদারে], বর্ণদূত [আখ্যান], পঞ্চস্বর [অনুবাদ নাটক সংকলন], আত্মহনন কিংবা স্বপ্নপোড়ানো আখ্যান [গল্প], আলসেকুঁড়ে [শিশুতোষ গল্প], সীমানা ছাড়িয়ে [অনুবাদ ও ভাবনা], জিয়ন্তকাল [মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আখ্যান], হিড়িম্বা [আখ্যান], তারেক মাসুদ [গবেষণা], রঙমহাল [আখ্যান], একজন সাব-এডিটরের কতিপয় ছেঁড়াখোঁড়া দিন [উপন্যাস], গহনযাত্রা [আখ্যান], দশদুয়ারী [অনুবাদ নাটক সংকলন], দূরাগত শব্দের তোরঙ্গ [অনুবাদ কবিতা সংকলন]।