ফ্ল্যাপে লিখা কথা ইদানীং বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প, ইপিজেড ইত্যাদিতে শুরু হয়েছে হানাহানি, অঙ্গিসংযোগ আর শৃঙ্খলা বাহিনীর তাণ্ডব। গার্মেন্টস শ্রমিক ছমিরণ সকালে কাচে বেড়োয়। গণ্ডগোল দেখলে ঘরে ফিরে আসে। আফসোস হয়, সেদিনের বেতন মার গেল বলে। কখনো দিন হয়তো ফিরবে, সেই আশায় তাকিয়ে থাকে বালুঘড়ির দিক, একনাগড়ে বালু ঝরছে। এই বিবর্তনের মতো নিজের জীবনে বির্তন আনতে ব্রতী সে। অধুনা উর্মী পশু আর পুরুষের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পায় না। পশু যেমন স্বার্থপর, স্বেচ্ছাচারী, হিংস্র। উমীর দৃষ্টিতে পুরুষ তাই। চোখের সামনে প্রতিভাসিত হয় একেকটি মুহূর্ত।
গল্পগ্রামের অশিক্ষিত সরজুবালা বালিকাবধু হয় একাত্তরের নিপিড়িত কার্তিকের। কার্তিকের একটা মন থাকলেও নেই পৌরুষ। আহত সরজু। অন্তরের শূচিতা নিয়ে অনুরক্ত হয় গুরুজন আইনুদ্দিন গায়েনের। তবুও কার্তিক, আইনুদ্দিনকে ভক্তি করবে সৃষ্টিশীল হিসেবে। পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা ডরোথী অ্যাডাম মুক্তিযোদ্ধার হাতে ভ্রাতৃহত্যা মেনে নিতে না পেরে প্রতিশোধ স্পৃহায় ছদ্মবেশ ধারণ করে পোষ্টিং নিয়ে ঢাকা আসে। মেঘ না চাইতে জল, এমনভাবে সামনে সাথে মুক্তিযোদ্ধা মকবুল। চকচক ডরোথীর হিংস্র চোখ, অন্যাদিকে হায়েনা বন্দী করে গর্বিত মকবুল। পরস্পর পরস্পরের শত্রু, একে অপরকে তাই ভাবে অথচ সব চেনে বুঝে দুষ্ট পৌরুষ একাকার!
হীমশীতল অনুভব এড়াতে তরুণ স্কুল ছাত্রকে নিবির করে হলিউডের ষাট দশকের অভিনেত্রী গ্লোরিয়া গ্রাহাম কাচভাঙ্গা শাণিত হাসিতে উথলে ওঠে। বলে আমি যতদিন এখানে থাকব , তুই রোজ আসবি, তবে একা আসবি। এরপর দীর্ঘশ্বাস টেনে বলে আমি এখানে একা, বড় একা। এসব খণ্ড খণ্ড কাহিনি নিয়ে পাঁচটি গল্প আঙ্গিকে সন্নিবেশিত হয়েছে- পায়রাকুঞ্জ