সাব ইন্সপেক্টর হারুনুর রশীদের হাতে এক জটিল কেস এসে হাজির হল। ভিক্টিমের পকেট থেকে পাওয়া গেল একটি বাসের টিকিট। যার গায়ে লিখিত তারিখ, জুন ২, ২০১৯। কিন্তু আজ তো ২০১৯ সালের মে মাসের ২০ তারিখ। তাহলে ১২ দিন পরের টিকিট ভিক্টিমের কাছে কি করে এলো? এটা কি শুধু মাত্রই টাইপিং মিসটেক? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য? এ সমাজের একজন সামান্য রিকশা চালক, আব্বাস মিয়া। গ্যারেজের রিকশা চালাতে-চালাতে যখন সে ক্লান্ত, তখন মনের ভেতর একটি নতুন রিকশা কেনার স্বপ্ন বুনছে। কিন্তু এতগুলো টাকা সে পাবে কোথায়? তার চারদিক ঘিরে, নানান অনৈতিক কাজের প্রস্তাব। আর নিজের ভেতর যত্নে রাখা সততা। কিন্তু সে কি পারবে সততা ধরে রাখতে? নাকি সুখের লোভে পা বাড়াবে অন্য কোনো পথে? এদিকে উপন্যাসের আরেক চরিত্র, আহসানুল আলম। এক সরকারী কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের সিনিয়র শিক্ষক। নগণ্য বেতন, অসুস্থ স্ত্রী আর কলেজ পড়ুয়া একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার অভাবগ্রস্ত জীবন। সে-জীবনে হঠাৎ করেই কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে শুরু করল। যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে, অতীত ভ্রমণকে। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের এই শিক্ষক তা মানতে নারাজ। কারণ স্টিফেন হকিং তো অনেক আগেই বলে গেছেন, "টাইম ট্রাভেল যদি সত্যিই হয়, তাহলে ভবিষ্যতের আগন্তকেরা সব গেল কোথায়?" আব্বাস, হারুনুর রশীদ এবং আহসানুল আলমের এই তিন গল্প, সেই সাথে টাইম ট্রাভেলের কাল্পনিক ধারণা এবং মানুষের জীবনের বাস্তিবক রুপকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাওয়া এক থ্রিলার উপন্যাস, "যেখানে সময় থমকে যায়।"