রুদ্ধতায় ভবিষ্যতের এক অস্থির সময়ের গল্প, যখন মানুষ মস্তিষ্কে নিউরোকম চিপ বসিয়ে সরাসরি যেকোনো যন্ত্রের সাথে যোগ স্থাপনে সক্ষম। পৃথিবীব্যাপী মানুষ তখন দুটো ভাগে বিভক্ত--সভ্য, যারা নিবন্ধিত চিপধারী ও সরকারের স্বীকৃত নাগরিক আর দুর্বৃত্ত, যাদের চিপ নেই, সরকারের স্বীকৃত নাগরিক নয় ও সমাজের চোখে অপরাধী। একত্রিত পৃথিবীর সরকারের ভূমিকায় রয়েছে নিউরোকম চিপ প্রস্তুত ও নিয়ন্ত্রণকারী টেক কোম্পানি 'এক্স কর্পোরেশন'। এরকম একটি পটভূমিতে দুর্বৃত্তরা সভ্যদের শনাক্ত করার উপায় না রেখে খুন করে তাদের নিবন্ধিত চিপ হাতিয়ে নিয়ে সেগুলো ব্যবহার করে ফেক আইডেন্টিটি তৈরির কাজে। কী করে তারা সেই ফেক আইডেন্টিটি দিয়ে? ব্যুরো অব ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের সিনিয়র ইনভেস্টিগেটর সেইচি ইনোউর কাছে এমনই একটি খুনের তদন্ত আসে, যেখানে সে আশাতীতভাবে পায় অদ্ভুত একটা সূত্র। সেই সূত্র ব্যবহার করে কঠিন এক জাল পাতার পরিকল্পনা করে সে। কী হবে সেই জালের পরিণতি? দুর্বৃত্ত রিগাল ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে। তাকে পাঠানো হয়েছে স্পেস প্রিজনে, যেখানে তাকে মুখোমুখি হতে হবে কঠোর ব্রেইন ওয়াশিং প্রক্রিয়ার। আর কখনো পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবে কিনা, তারও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু, ঝুঁকি আছে জানার পরও বিশেষ একটি উদ্দেশ্য নিয়ে সে ধরা দিয়েছে পুলিশের হাতে। কী সেই উদ্দেশ্য? দুর্বৃত্ত দলের আলিয়াহর ওপর দায়িত্ব পড়লো ইনভেস্টিগেটর সেইচিকে ঠেকানোর। কিভাবে এগোবে সে? বুদ্ধিমান দুই পক্ষ। ধারালো বুদ্ধির লড়াই। কোন দিকে মোড় নেবে গল্প? দুর্বৃত্তদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের গোপন বৈঠকেই বা কিসের পরিকল্পনা হচ্ছে? সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বিরাট কোনো বিপর্যয় ঘটে যাবে না তো? পাঠক, তানজিরুল ইসলাম এবার আপনাদের সামনে হাজীর হয়েছেন সাইবার পাংক ধারার একটি সায়েন্স ফিকশন নিয়ে। ভবিষ্যতের অন্ধকার এক সময়ে বুঁদ হতে রুদ্ধতায়-এ স্বাগতম।