প্রায় দেড় হাজার বছর আগে প্রিয় নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ভালোবেসে কোনো এক মজলিসে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছেন। সেই মজলিসে আমরা থাকতে পারিনি; কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন। তিনি সাহাবিদের মজলিসে বসে থাকতেন, সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করতেন আর আমাদের প্রিয় নবিজি উত্তর দিতেন। কিন্তু কখনো কখনো নবিজি নিজেই আগ্রহ সহকারে বলতেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সর্বোত্তম বিষয়টি জানিয়ে দেবো না?’ ‘আমি কি তোমাদেরকে নামাজ-রোযার চেয়েও উত্তম আমলের কথা বলে দেবো না?’ সাহাবিরাও খুব আন্তরিকতার সাথে বলতেন, ‘অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি আমাদের জানিয়ে দিন।’ যে কথাগুলো নবিজি নিজ থেকে আমাদেরকে জানিয়ে দিতে চেয়েছেন, নিশ্চয়ই সে কথাগুলোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই আমরা নবিজির দরদমাখা সেই নির্দেশনাগুলো “আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেবো না” এই শিরোনামে একত্রিত করেছি। নবিজি এমন কী বিশেষ কথা আমাদের জন্য বলে গিয়েছেন, এমন কী গুরুত্বপূর্ণ আমলের খবর আমাদের দিয়েছেন, কারও কোনো প্রশ্ন করা ছাড়াই নিজ আগ্রহে তিনি কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন—চলুন জীবনে একবার হলেও সেগুলো জেনে নিই।
আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা নওগাঁ শহরে। প্রাথমিক পাঠও সেখানে। এরপর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদীস বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হওয়ার সুবাদে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এম.ফিল ডিগ্রী অর্জন করেন এবং সেখানে পিএইচডি গবেষণারত। শিক্ষাজীবনে প্রতিটি স্তরে রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্কলার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ)-এর একজন ছাত্র। খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মসজিদুল জুম’আ কমপ্লেক্স, পল্লবীতে। একইসাথে বেসরকারি টেলিকম সেবা দানের প্রতিষ্ঠান ইবিএস-এর রিলিজিয়াস ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং তিন কন্যাসন্তানের জনক। এই তরুণ আলিম একজন প্রাঞ্জলভাষী দাঈ। পছন্দ করেন আল্লাহর পথে দাওয়াত দিতে, লিখতে এবং তরুণ ও যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক কাজ করতে।