আশির দশকে যে কয়জন ছড়াকার নিজস্ব উজ্জ্বলতা নিয়ে বাংলাদেশের ছড়া সাহিত্যকে মাতিয়ে রেখেছিলেন তাদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন জুয়েল অন্যতম। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করা সত্বেও তিনি ছড়ার জগতকে নিয়েছেন আপন ভুবন হিসেবে। আর এ অঙ্গনেই তিনি স্বস্তি খুঁজে ফেরেন। জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৬৭ সালের ১৯ শে জানুয়ারী সিলেট শহরের কুমারপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তার পিতা মরহুম আসাদ মানিক ও মাতা মরহুমা সরফুল আরা বেগম চৌধুরী। তার পিতা শ্রীমঙ্গলের বেশ কয়েকটা চা বাগানে কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকার কারণে তার শৈশব কেটেছে শ্রীমঙ্গলে। পাহাড়ঘেরা সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গল তাকে ঠেলে দেয় সৃজনশীলতার এক বিশাল জগতে। তিনি পড়াশোনা করেছেন এইডেড হাইস্কুল, মদন মোহন কলেজ, সিলেট আন্ঠন মহাবিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষে তিনি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পড়েন। পাশাপাশি করেন শিক্ষকতাও। বর্তমানে তিনি সরকারি চাকরিজীবী। কর্মরত আছেন সিলেট প্রধান ডাকঘরে। আজীবন প্রতিবাদী কণ্ঠ ছড়াকার সাহিত্যচর্চ্চার পাশাপাশি বিভিন্ন সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী ছড়াসংগঠন ছড়াপরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি যুক্ত আছেন চাঁদের হাট পরিবারের সাথে। তার অবসর কাটে বই পড়ে। ছড়া সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন ঢালপত্র পদক-২০২০। তার প্রথম ছড়াগ্রন্থ ‘বাঘের দেশে শেয়াল রাজা’ গুণমুগ্ধ পাঠকের দৃষ্টি কাড়তে সমর্থ হয়েছে। তার সম্পাদিত ছড়াগ্রন্থ ‘উচ্চারণ’ ও ‘ছড়া নয় ছড়ি’ বাংলাদেশের ছড়াসাহিত্যে এক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। - প্রকাশক