বিভিন্ন সময় গুন গুন করার মাধ্যমে যখন নিজের ভেতর নতুন কিছু গীতিধর্মী কথা তৈরী হয়েছে তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গীতিকথা লিখতে উদ্ভুদ্ধ হই। সংগীত বা সুর বিষয়ে আমি অজ্ঞ, জীবন অভিজ্ঞতা আর কাব্য রচনার কৌশলকে উপলক্ষ্য করে এগিয়ে গিয়েছি কথার গীতল সৌন্দর্যের দিকে। এভাবে লেখা গীতিকবিতাগুলো। কোনো নির্দিষ্ট পাণ্ডুলিপি বা খাতায় একত্রে লিপিবদ্ধ ছিল না। চিঠির খাম, কাগজের টুকরো, ছেড়া পাতা ইত্যাদিতে বিভিন্ন সময় লিখে রেখেছিলাম। গুনেও রাখিনি, ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে কথাগুলো একত্রে নিয়ে লিখে রাখার তাগিদ অনুভব করি। নিজেকে একটু স্থির করে পাণ্ডুলপি সাজাতে-গুছাতে বসে গেলাম। শতাধিক গীতিকথা একত্রিত হয়েছে দেখে আগে-পিছু কিছু না ভেবে একটি গীতিকবিতার বই প্রকাশের মন স্থির করি। এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে লোকজ ভাষায় লেখা প্রেমের গান, বিচ্ছেদের গান, আধুনিক গান, বিরহের গান, অনুপ্রেরণার গান, প্রতিবাদের গান, আধ্যাত্যিক চিন্তার গান ও দেশ প্রেমের গান। এই গীতিকথাগুলো গতানুগতিক ধারায় লেখা। আগামীতে হয়তো ভিন্নভাবে কিছু করার চেষ্টা থাকবে। এই গ্রন্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে দুইজন গুণী সাহিত্যিক বড় ভাই আমাকে সহায়তা করেছেন, সময় দিয়েছেন তাদের নাম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাভরে নিতে চাই, কবি ও কথাশিল্পী একেএম আব্দুল্লাহ ভাই এবং কথাশিল্পী ও কবি সাগর রহমান ভাই। সাহিত্য সতীর্থ ও গুণীজনদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ‘লিপিবদ্ধ গীতিকথা’র পাঠক হয়ে যারা এই ছোট্ট কীর্তিতে আমার পাশে থাকছেন তাদের প্রতি। ধন্যবাদ। বিনীত মুহাম্মদ মুহিদ