হাজার বছর পেরিয়েছে বাংলা কবিতা। এর মন্ময় অনুভূতির রঙ ও ব্যঞ্জনা সৃষ্টির শুরু হয়েছিল চর্যাপদে। তার পরে চলেছে বিস্তার-মধ্যযুগ ছাড়িয়ে বর্তমান পর্যন্ত। এর অভিমুখ এখন অনাগত ভবিষ্যতের দিকে। কীভাবে এইসব কবিতারাশি রূপরসের ব্যঞ্জনায় সময়স্বভাব ও কবিতা পার্সোনাকে ধারণ করে আছে নানা চিহ্নে-সংকেতে-রূপকল্পে তারই ধারাবাহিক চিত্রায়ণ কবিতার নান্দনিকতা : প্রাচীন ও মধ্যযুগ গ্রন্থটি। কবিতা যূথবদ্ধ সমাজগ্রন্থির বন্ধন ছিন্ন করে কীভাবে ব্যক্তিময় অনুভূতির আলোতে প্রাণ পেয়েছিল তারই বিশ্লেষণ করতে চেয়েছেন কবিতাবোদ্ধা বেগম আকতার কামাল। তাঁর দৃষ্টি দূরাতীত থেকে বর্তমান অবধি ছড়ানো। তাই কবিতার নন্দন ব্যাখ্যায় তিনি বর্তমানের কাব্যকৃতিতেও অনুসন্ধান করেছেন বিচিত্র কাব্যিক সৌন্দর্য। এই গ্রন্থের প্রবন্ধগ–লোয় বাংলা কবিতা পাঠের বিপুল ইঙ্গিতময় অভিজ্ঞতা এবং শৈল্পিক রূপরসের পরিজ্ঞান চিহ্নিত হয়েছে। বাংলা কবিতা মূলত বহু বর্ণময় গীতিকাব্যিক—চিত্রে ও ধ্বনিতে। প্রাবন্ধিক, গবেষক বেগম আকতার কামাল বিবিধ নন্দনতত্ত্বের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণে উপস্থাপন করেছেন হাজার বছরের বাংলা কবিতার ওই ধ্বনিময় চিত্রাত্মকতার অনুপুঙ্খ।
গবেষক ও প্রবন্ধকার বেগম আকতার কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর জন্ম চট্টগ্রাম শহরে। পিতা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা, মা মজিদা বেগম। বেগম আকতার কামাল ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ‘বিষ্ণু দে-র কবিমানস ও কাব্য’ শীর্ষক গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।