সিনেমা একটা কমবেশি ড্রামাটিক আর্ট। কিন্তু এই ড্রামাটিক আর্টে হানেকের কাজ যত বেশি ড্রামাটিক, ততটুকুই রিয়ালিস্ট। ড্রামা আর রিয়ালিজমরে উনি মিলায়ে দেন। এইজন্য উনার সিনেমায় দেখা যায় কোন এক লোক তার এক ছোটবেলার বন্ধুরে (ঠিক বন্ধুও কওয়া যায় না, সম্পর্কটা জটিল) ডাইকা আইনা তার সামনেই গলায় ছুড়ি চালাইয়া সুইসাইড করে। পুরা সিনটা তাড়াহুড়া কইরা একটা মুরগী জবাই করার মতো লাগে৷ লোকটার গলার রক্ত চারপাশে ছিটতে থাকে, দেয়ালেও ছোপ ছোপ রক্ত। এই সিনটা যখন প্রথম দেখছিলাম, তখন খুবই অদ্ভূত লাগছিল। মনে হইছিল সিনেমায় ভায়োলেন্সরে আলাদা গুরত্ব দিয়া দেখান না উনি, বরং উনার সিনেমায় ভায়োলেন্স রিয়াল লাইফের অংশ হিসেবে একটা সাদামাটা জিনিসের মতোই ঘটে। তার ভায়োলেন্সও ধুমধারাক্কা মাইরপিট টাইপের কিছু না, একদমই রিয়াল লাইফের এলিমেন্ট। আরেকটা ব্যাপারও উল্লেখ করা দরকার, হানেকের ভায়োলেন্সরে শারীরিক ব্যাপারটা কম, এরচেয়ে মানসিক ভায়োলেন্সরেই উনি সিনেমায় বেশি পোট্রে করেন। ব্যক্তিগতভাবে রিয়ালিস্ট ফিকশনের ভক্ত হওয়ায় হানেকের এই কাজগুলা আমারে খুবই টানে। উনার রিয়ালিজমের বোঝাপড়া কদ্দুর তা বুঝানোর জন্য সাক্ষাতকার থেকে আরেকটা উদাহরণ দেওয়া যায়।
Title
মিশাইল হানেকে (ইন্টারভিউ ফিল্ম ১) - ফিল্ম হইলো সত্যের জন্য সেকেন্ডে চব্বিশবার মিথ্যা বলা