১৪০০ থেকে ১৪০৭ বাং সনের মধ্যে লিখা। এই কাব্য গ্রন্থের, প্রায় সবগুলো কবিতা। গ্রন্থের নামটিও তখনকার। প্রকাশ কালে প্রতিটি দাঁড়ি, কমা অবিকৃত রয়েছে। ভুল হলে ভুল। নিরীক্ষা মূলক কাজ করেছিঃ সনেট, মাত্রাবৃত্তে, স্বরবৃত্তে। নূতন, আমার বোধ মতে। যা করেছি তা হলো। সনেটের মধ্যে সরবৃত্তের প্রয়োগ। জানি না, কাঁঠালের আমসত্ব হয়েছে কিনা? পাশাপাশি সনেট, মাত্রাবৃত্তে। অন্ত্য ও আদির আঙ্গিক গত অনুপ্রাস। সফল কি বিফল। বিবেচনা, বিদগ্ধ পাঠক সন্নিকটে। লিখলাম। কবিতা হলো। সকলেই কবি। এমন না। কবিতাও নিরন্তর গবেষণার। বিজ্ঞান ও অপরাপর শিল্প মাধ্যমের মতো। বই হবে। এমন ভাবনা ছিল না। সে চিন্তা থেকে লিখিওনি। বহু পরে। বই যে হয়েছে। সেটা সুভ্যানুধ্যায়ী মন্ডলী ও প্রকাশক মহোদয়ের ইচ্ছায়। ঐতিহ্যগত ভাবে, এতদঞ্চল বই বিমুখ। যদিও পড়েন, তা হয় চটকদার। নয়তো পাঠ্যপুস্তক। সৈয়দ মুজতবা আলী বিশদ বলেছেন। বইটি পাঠক ও ঋদ্ধ মনে। ঢেউ না তুললে- মুষড়ে পড়বো। এমন না। আবার সুধী মহলে ও বিদ্য জনে। সাড়া জাগালে উল্লোসিত হবো। তেমনও না। ফ্ল্যাপ পড়ে, ভেতরে কি আছে? জানার চেষ্টা বৃথা। বরং পাতা উল্টে দেখে নিন। ভেতরে কি নেই? কি থাকলে ভালো হতো? কী থাকা না থাকা, এক জিনিস। "বই কেনা"-র সৈয়দ মুজতবা আলী-কে ঝেড়ে ফেলে। নিজেই যোগ,বিয়োগ,গুণ,ভাগ করুন। কিসে দেউলিয়া হয়? কিসে হয় না? শুভেচ্ছা নিরন্তর।