মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশের প্রায় সব লেখক-শিল্পী ও সংস্কৃতিসেবী অংশ নিয়েছিলেন। একইভাবে আন্তর্জাতিক পরিসরেও কবিতা লিখে ও পাঠ করে, গান গেয়ে, ছবি এঁকে ও সংহতি আন্দোলন গড়ে তুলে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্বনন্দিত কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীরা। আর্জেন্টিনার খ্যাতনামা লেখক রবীন্দ্র প্রীতিধন্য ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো, নোবেলজয়ী মার্কিন কবি ও গায়ক বব ডিলান, গায়ক জর্জ হ্যারিসন, জোয়ান বায়েজ, কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ, রুশ কবি আন্দ্রেই ভজনেসেনস্কি, যুক্তরাজ্যের অস্কারজয়ী অভিনেত্রী গ্লেন্ডা জ্যাকসন এবং ভারতের পণ্ডিত রবিশঙ্কর, গায়ক ও সুরকার শচীন দেববর্মন, সলিল চৌধুরী, লতা মঙ্গেশকর, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক সত্যজিৎ রায়, শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন, কবি কাইফি আজমিসহ অনেকে যুদ্ধের সেই দিনগুলোতে আমাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন, বাড়িয়েছিলেন ভালোবাসার হাত। এ বইয়ের লেখক মতিউর রহমান নানা সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যুদ্ধের সেই দিনগুলোতে বিদেশি লেখক-শিল্পী বন্ধুদের অবদান বিশদভাবে তুলে ধরেছেন। সাধারণ পাঠকের কৌতূহল নিবৃত্তির পাশাপাশি লেখক-গবেষকদের জন্য বইটি এক আকরগ্রন্েথর মর্যাদা পাবে।
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর । সাপ্তাহিক একতার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (১৯৭০-৭৩) এবং পরে সম্পাদক ছিলেন (১৯৭৩-৯১)। সম্পাদক * ছিলেন ভােরের কাগজ (১৯৯২-৯৮) পত্রিকার । প্রথম আলাের সম্পাদক (১৯৯৮ সাল থেকে)। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ধনিকগােষ্ঠীর লুটপাটের কাহিনী (যৌথ, ১৯৮৭), খোলা হাওয়া খােলা মন (১৯৮৮), ইতিহাসের সত্য সন্ধানে বিশিষ্টজনদের মুখােমুখি (২০০৪), শহীদ নূর হােসেন (যৌথ, দ্বি. স. ২০১৩), আকাশভরা সূর্যর্তারা : কবিতা-গান-শিল্পের ঝরনাধারায় (২০১৪), মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ | রাজনীতি, বাংলাদেশ ১৯৯২-২০১২ (২০১৪)। এ ছাড়া উল্লেখযােগ্য সম্পাদিত গ্রন্থ একুশের পটভূমি : একুশের স্মৃতি (২০০৩), আমাদের কালের নায়কেরা ( (২০০৩), কৃতীদের মুখ (২০০৪), আলতাফ মাহমুদ: এক ঝড়ের পাখি (২০০৫) ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে ‘সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সৃজনশীল যােগাযােগ’-এ ২০০৫ সালে পেয়েছেন র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ।।