নিঃসন্দেহে নিজের জীবন শতাব্দী জাহিদ নিজেই কাটায়। আর ঘাড়ে বসিয়ে রাখে একজন গায়েবি জীবনী-লেখককে। যে জীবনী-লেখক সযত্নে লিপিবদ্ধ করে রাখে ওর যাবতীয় বেপরোয়া যাপন, থেকে মরণাপন্ন দৌড় হয়ে আবার জীবনমুখী থমকে দাঁড়ানোগুলোকে। শতাব্দীর কাজ হলো ঘাড়ে বসে থাকা এই জীবনী-লেখককে নাটকীয় ঘটনা সরবরাহ করা। ব্যক্তিজীবনের রসাস্বাদনে নিজেকে ছিবড়ে ফেলে, অম্ল, মধুর, ঝাল ও তেতো যেসকল রস বের করে নিতে হয় আগে; এক দশকের শিল্পী-লেখক জীবনে কোনোটিই বের করতে বাকি বা কমতি নেই শতাব্দী জাহিদের। ফলে আত্মজৈবনিক নানা উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়াই বইটির নিয়তি। এছাড়াও, প্রচলিত ছন্দের ধার না ধেরেই, নান্দনিক পরিমিতিবোধের ছাঁচকাটা অবয়বপ্রাপ্তি ঘটেছে কবিতাগুলোর। তবে নিজের কবিতাভাষায় উপমা, চিত্রকল্প ও বর্ণনা-আবিষ্কারের কারিগরি সূক্ষ্মতার প্রতি খানিকটা উদাসীন থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত যে শতাব্দী নিয়েছে, সেটা বোঝা যায়। আর তাতে কোনো সমস্যা দেখি না কারণ, আসলে তো ঘাড়ে বসে থাকা ওই জীবনী-লেখকেরই ছিল সব দায়িত্ব। অজানা কারো প্রতি দয়াপরবশ হয়ে শতাব্দী জাহিদ সে দায়ের যতটুকু নিজের কাঁধে তুলে নেয়, ততটুকুই আমরা কবিতারূপে পাই। তানিম কবির