কৈফিয়ত বেশ কিছুকাল আগে আমার পূর্বতন অফিসের সহকর্মী জনাব শামসুল আরেফিন দাপ্তরিক কোনো এক প্রতিবেদন লেখার কাজে সার্চ ইঞ্জিন গুগল-এ কিছু তথ্য খুঁজছিলেন। তখন এই সার্চ ইঞ্জিনের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহল দ্রুত বেড়ে চলছিল, খুব সহজে যে কোনো তথ্য সেখানে পাওয়া যেতো বলে। তিনি কৌতূহলবশত আমার নামটিও লিখে সার্চ দিয়ে জানালেন, গুগল আমাকেও নাকি ফলো করছে এবং আমার নামের সাথে কৃতকর্মগুলোও তার তথ্যভাণ্ডারে সযত্ন রেখে দিচ্ছে। এমন কী কাজ আমি করেছিলাম যে গুগল আমার নামটি মনে রাখবে, তা কিছুতেই মাথায় আসছিল না। চোখ বুলিয়ে দেখি, কোলকাতা ও দিল্লু শীতে আমার ছাত্রজীবনকালে নানাজনের অনুরোধে ও প্রয়োজনে ইংরেজি ভাষায় সামান্য যে কয়টি লেখা লিখেছিলাম এবং একটি নিউজলেটার সম্পাদনা করেছিলাম, গুগল সেগুলোরই হদিস পেয়েছে। প্রথিতযশা কিছু মানুষ, যেমন - পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রী ডি. কে. সিং, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও গবেষক শ্রী বি. জি. ভার্জেস উত্তরপূর্ব ভারতের নানা জাতি-সমস্যা বিষয়ে নিজেদের পুস্তক রচনার সময় আমার লেখাগুলোকেও স্মরণ করেছেন। এমনকি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-লাইব্রেরিতেও আমার একটি লেখা সংরক্ষিত আছে, যা বোধ করি অধ্যাপক শ্রী সিংজীর কল্যাণেই হয়েছে। তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়া কোনো লেখা যদি এভাবে কিছু আলোকিত মানুষের কাজে আসতে পারে, তাহলে নিজের কর্মস্মৃতি ও স্পৃহাকে পুনরুদ্ধারের জন্যেওতো লেখাগুলোকে এক জায়গায় এনে সংরক্ষণ করা যায়। এমন একটি চিন্তা বা অনুপ্রেরণা থেকেই লেখাগুলোকে জড়ো করার কাজে হাত দিই। তাছাড়া এদেশে আমার কিছু বন্ধু-স্বজন-শুভার্থী রয়েছেন যারা আমাকে সব সময় লিখতে বলেন। কোনো কোনো শিক্ষা-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাগ্রসর জুম্ম ছাত্র-ছাত্রীরাও তাদের বিভিন্ন প্রকাশনায় লেখা চেয়ে বসেন। তাদের অনুরোধেও যে ক'টি লেখা বাংলাদেশে আসার পর লিখিত হয়েছে, তার সবগুলোকে পুরনো লেখাগুলোর সাথে একীভূত করে একটি পুস্তক বানানো যায় বলে দ্বিধাগ্রস্তভাবে মনে করেছি।