ঈদের মাত্র আর বিশ দিন বাকি। আমি এবং আমার বড় ভাইয়া ভেবে পাচ্ছিলাম না, এবার ঈদে জামা-কাপড় ছাড়া আর কী বাবার কাছ থেকে নেওয়া যায়। তখন বাবা আমাদের বললো, ‘তোমরা কয়েকটা বই নিতে পারো। আমি অনলাইনে অর্ডার দেবো।’ তখন আমরা দুজন রকমারিতে বই খুঁজতে লাগলাম এবং আমি বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘হাতি গিয়েছিলো মানুষ দেখতে’ বইটি দেখতে পেলাম। আমি এই বইটি অর্ডার দিলাম। তখন করোনার সময়। তাই বই আসতে সতেরো দিন সময় লাগলো। বই হাতে পেয়ে পড়া শুরু করলাম। বইটি ছিলো এমন: “হাতি ও সিংহ সম্পর্কে মামা ভাগ্নে। একদিন তারা গ্রামে যায় মানুষ দেখতে। এক পর্যায়ে সিংহ ভয় পেয়ে বনে ফিরে আসে। কিন্তু হাতি আশা ছাড়ে না। সে গ্রামের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তখন হাতিকে গ্রামবাসী বন্দি করে ফেলে।” আমি এই গল্প ছোট কাকা ড. মুশতাক ইবনে আয়ূবকে শোনালে সে বললো, গল্পটা শুনে তার খুবই মন খারাপ হয়েছে। এটার দ্বিতীয় পর্ব যেন আমি লিখি এবং সেটাতে যেন হাতি ছাড়া পায়। তখন থেকেই আমি নিজের মতো করে লেখা শুরু করলাম। বইটিতে অল্প কিছু শব্দ আমার ভাই মাসরুর তাজ ঠিক করে দিয়েছে। আর বেশিরভাগ ছবিই মোবাইলের মাধ্যমে সে এঁকে দিয়েছে। ‘হাতি গ্রামবাসীদের কাছে বন্দি’ এবং ‘সিংহ বনে বসে মাঝে মাঝেই হাতির কথা মনে করে’- এই দুটি বিষয় মাথায় রেখে পড়ো ‘হাতি ফিরলো মানুষ দেখে।’