যে দিন পড়েছে, তাতে সুস্থ থাকাই যেন মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ দেশে এমন একজন মানুষও বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না যে কোনো না কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় না ভুগছেন। কর্মব্যস্ততা, কম কায়িক পরিশ্রম, যা ইচ্ছে তাই খাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খল জীবনযাপন, দূষিত পরিবেশÑ এরূপ শত শত কারণ রয়েছে আমাদের ভালো না-থাকার পেছনে। দেহটা আমাদেরÑ তাই ভালো থাকার চেষ্টা আমাদেরই করা উচিত। টুকিটাকি অনেক স্বাস্থ্যগত সমস্যার সমাধান আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে। প্রাকৃতিক সেসব ব্যবস্থা দ্বারা আমরা ভালো থাকার চেষ্টা করতে পারি। সুপ্রাচীনকাল থেকে গাছগাছড়া মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখাতে সাহায্য করে আসছে। এ দেশে অন্তত পাঁচশো রকমের গাছগাছড়া রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আমরা স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে পারি। লেখক মৃত্যুঞ্জয় রায় এ দেশের ঔষধি গাছপালার ভান্ডার থেকে ধারাবাহিকভাবে একের পর একটা গাছ নিয়ে নিয়মিত লিখে চলেছেন। এর আগেও তাঁর লেখা ঔষধি গাছ নিয়ে দুটি খÐ বই প্রকাশিত হয়েছে। এটি তৃতীয় খÐ। এ খÐে তিনি কুড়িটি ঔষধি গাছের পরিচয়, ভেষজগুণ ও ব্যবহার, চাষাবাদ ইত্যাদি সম্পর্কে অত্যন্ত সহজসরল ভাষায় কাজের কথাগুলো লিখেছেন। সাথে রয়েছে খাদ্যের সাথে রোগের সম্পর্ক বিষয়ে তথ্যবহুল আলোচনা ও ঔষধি গাছগুলো চেনার ছবি।
কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এম.এসসি.এজি (উদ্যানতত্ত্ব) ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগতভাবে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। সর্বশেষ অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুদীর্ঘ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফসল উৎপাদনের বিশেষ পারদর্শীতা, শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণের দক্ষতা। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন ‘বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল’ বইটি।। কৃষি বিষয়ে তিনি ইতােমধ্যে অনেকগুলাে বই লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ৮৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ৬২টি বই কৃষি বিষয়ক। কৃষি বিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ২০১২ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার স্বর্ণপদক।