সত্তরের দশক। দেশের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন এক অজপাড়াগাঁ। মক্তব আর প্রাইমারি যে গাঁয়ের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। সে গাঁয়ের চির বৈরী দুই পরিবার। একদিকে বিত্তবান মোড়ল পরিবারের একমাত্র পুত্র-অপরদিকে বিত্তবান মোড়ল পরিবারের একমাত্র পুত্র-অপরদিকে বিত্তহীন পরিবারের কনিষ্ঠ কন্যা। মহান প্রভুর ইচ্ছায়, দুই পরিবারের দুই শিশুহৃদয়ে প্রেমোদগম। বউ হিসেবে ইস্পাতকঠিন মোড়ল মানবে? কিছুতেই না। মোড়লের হুংকারে শিশুপ্রেম অঙ্কুরেই বিনাশ হবে। জেদি ও একরোখা সালমা মোড়ল পরিবারের বউ হিসেবে দু’দিনও টিকবে না। এসব বিশ্বাস কনে পরিবারেরও। সালমা টিকেছিল। শিশুহৃদয়ের যুগলপ্রেম অঙ্কুরে বিনাশ না হয়ে ধারণ করেছিল মহীরুহের আকার। সালমা যে বশীকরণ মন্ত্রের দ্বারা সবাইকে বশ করে এক সেকেলে পরিবারকে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছিল সে মন্ত্রের নাম ‘সালমার সংসার’। সালমারা হারায় না, সংসারবিমুখ আনাড়ি সংসারীদের অস্থির সংসারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দিশারী হয়ে বেঁচে রয় চিরকাল। ‘সালমার সংসার’ নিঃসন্দেহে পারিবারিক উপন্যাস। পার্থক্য, অপরাপর উপন্যাসের পটভূমি এবং শিল্প দুই-ই লেখকের মনগড়া। ‘সালমার সংসার’-এর পটভূমি লেখকের মনগড়া নয়। মহান প্রভু রাব্বুল আলামিন-এর বরচিত পটভূমিতে লেখক রূপ, রস ও অলঙ্কার পরিয়েছেন মাত্র।