‘পাপের শাস্তি’ উপন্যাস-এ সমাজের শোষণ-নিপীড়নের সজীব কল্পনায় চিত্রিত হয়েছে। সমাজে এখনও স্থাবর-অস্থাবর ধনসম্পত্তির লিপ্সায় লিপ্ত মুখোশধারী ধনীরা। নিত্য নতুন কৌশলে তারা তাদের ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ‘পাপের শাস্তি’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রহিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জনপ্রিয় ইংরেজি শিক্ষক হরিহর বিশ্বাস। তার একমাত্র পুত্র সত্যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পূজোর ছুটিতে বাড়ি আসতে গিয়ে অন্ধকার রাতে পথিমধ্যে খুন হলে হরিহর মাস্টার উন্মাদ হয়ে যত্র-তত্র ঘুরে বেড়ায়। অন্যদিকে বিত্তশালী মনোহর চৌধুরী সমাজের বিত্তশালী ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তার ক্ষমতার অপব্যবহারে সমাজের যুবশ্রেণি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্যেন খুনের সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য লড়তে থাকে। মনোহর চৌধুরীর একমাত্র পুত্র ভাস্কর, হরিহর মাস্টারের কন্যাকে নিভৃতে ভালোবাসে। কামাল, ভাস্করের একান্ত বন্ধু। কামালকে আবার মনোহর চৌধুরী রহিমপুরের ফটিক ম-লের মেয়ে ঊর্বশীকে হত্যার প্রধান আসামী করে হাজতে পাঠায়। এ গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে আদালতে বিজ্ঞ বিচারকের বিচার শেষে। উপযুক্ত সাক্ষ্য ও সকল প্রকার প্রমাণ শেষে ‘সত্যেন’ ও ‘উর্বশী’ খুনের খুনিদের মুখোশ খুলে যায়। ‘পাপের শাস্তি’ আমার দ্বিতয়ি উপন্যাস। প্রথম উপন্যাস ‘সবুজ লালে উইপোকা’ গত ২০২০ খ্রি. একুশের বই মেলায় বেশ সমাদৃত হয়। ‘পাপের শাস্তি’ উপন্যাসটিও পাঠক মহলে একইভাবে সমাদৃত হলে আমার শ্রম সার্থক হবে।