শুভ্র আকাশ। একটুও মেঘ নেই। ভরা পূর্ণিমা। জ্যোৎস্নার লাবণ্যতায় মুখরিত চারদিক। রাতজাগা পাখিদের গান আর শিউলি ফুলের মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতি নতুন সাজে সজ্জিত। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত হয় দিগন্ত। পূর্ণিমায় অন্য সময় শৈশব তার মা তানিয়া বেগমকে নিয়ে ছাদে গিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত সময় কাটায়। মাঝে মাঝে তানিয়া বেগম রবীন্দ্র সঙ্গীত গান গায় আর শৈশব গীটার বাজায়। অথচ আজ পূর্ণিমার আভা তার পড়ার টেবিলে। তার কোন খবর নেই। মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা চলছে। রিভিশনে মগ্ন শৈশব। অনার্সের মতো এবারও অর্থনীতি ডিপার্টমেন্ট থেকে ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হওয়ার টার্গেট তার। এক গ্লাস দুধ রেখে যায় তানিয়া বেগম। অন্য দিন দুধ নিয়ে আসলে শৈশব তার মায়ের সাথে বেশ গল্প করত। কিন্তু আজ একটুও কথা বলেনি মায়ের সাথে। তানিয়া বেগম নিজ রুমে গিয়ে প্রেসারের ঔষধ খায়। অন্য দিনের তুলনায় আজকে তার প্রেসার বেশি। তার রুমের পাশের লনে জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই সৌন্দর্য উপভোগ করার লোভ সামলাতে পারছে না তানিয়া বেগম। লনের ইজি চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে মায়াবী রাতের প্রকৃতি অনুভব করছে সে। হঠাৎ তার মনে আসে শৈশবের বড় হওয়ার বিষয়টি। পঞ্চম- অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়া, এস.এস.সি এইচ.এস.সি, তে বোর্ড স্ট্যান্ড, বুয়েটে মেডিকেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম দিকে চান্স পাওয়ায়