স্বপ্ন ঘিরেই মানুষের জীবনকে চালায়। সময়ের যাতাকলে পড়ে অনেক কিছু শিখে, চিন্তার পরিবর্তন আনে। কেউ নিজেকে বদলায়। আবার কেউ বদলায় না, পুরাতন বা অতীতকে আঁকড়ে থাকে। আমাদের আশেপাশের চেনা জানা চরিত্রগুলোই দেখি যা এই উপন্যাসের উপন্যাসিক ফুটিয়ে তুলেছেন। একজনের পাশাপাশি চলতে গিয়ে বুঝতে পারলো নারীর প্রতি পুরুষের দারণা কুব অবমাননাজনক, ফুলদানির ফুলের মতো। ফুলের সৌরভ আর শোভা শেষ হলে যেমন ফুলদানির ফুলগুলোকে ঝেড়েফুড়ে পুরাতনকে ফেলে আবার নতুন ফুল দিয়ে শোভা বর্ধন করা হয়। তেমনি নারীকেও সমাজ তার প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকে। প্রয়োজন ফুরালে ময়লার ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে। জীবনের কিছু পথ চলে আবার কর্মময় জীবনে আরেকজনকে জেনে বুঝতে পারলো, না, একজনকে গিয়ে গোটা জাতিকে বিচার করা ঠিক না। পোষাক আষাকে যেমন বিভিন্নতা আছে, স্বভাব চরিত্রে ও চিন্তায় তেমন ভিন্নতা আছে। পুরুষের প্রতি হারানো শ্রদ্ধাটা আবার ফিরে আসতে লাগলো। সমাজের কিছু মানুষের আচার আচরণে ভাবনার দরজায় আঘাত লাগে, তা থেকে নতুন ভাবনার উদ্ভব হয়। ঘুমন্ত চিন্তার কপাট খুলে যায়। দশ বছর এক ছাদের নিচে বাস করেও একজন যে ভালোবাসা বুঝেনি, আরেকজন কয়েকদিনেই নিবিড়ভাবে বুঝে যায় ভালোবাসা। এই বোঝা না বোঝার দ্বৈরথে সময় নিয়েই ‘ভালোলাগার বয়স নেই’। পৃথিবরি বুকে ছড়িয়ে পড়ে কালো ছায়া। সময় গড়িয়ে যায় সময়ের গতিতে। মানুষের ভাবনার জগৎ নির্লজ্জভাবে কতো কিছু ভাবে। একটি মানুষ বাইরে থেকে যায়। হৃদয়ের অব্যক্ত যন্ত্রণায় মানুষ ক্রমাগত দংশিত হয়ে যায় যার কুলকিনারা অজানা। উপন্যাসের চরিত্র বিশ্লেষণে দৈনন্দিন জীবনযাপনে অন্তর্শীল অনুভূতি। একদিকে বহির্মুখী স্বভাব, আরেকজন ভেতরমুখী অপ্রকাশিত আত্মদ্বন্দ্ব ও আত্মকথন বাস্তবের মানুষকে বেষ্টন করে চিত্রিত উপন্যাসটির আখ্যানে রয়েছে আমাদের জীবনের ঘরোয়া কতকথা পরিচিতি মানুষগুলোর মিহিত মোহবোধ অনুভব এবং তৎপরতার সমষ্টি গল্পের কেন্দ্রে এসে দাঁড়ায় অনিবার্যভাবে নারী ও পুরুষ যাদের লক্ষ্য শেষ অবধি সংসার। আমরাই চুড়ান্ত নায়ন নায়িকা বিভিন্ন নামে বিভিন্নভাবে চরিত্রতে কল্পনার জগতে ঘুরেফিরে চলমান সমাজে।