মানুষের জীবনে কখন যে কার আঘাত-ঘাত প্রতিঘাত আসবে তা যেদিন প্রথম রোলো মার্টিনকে প্রথম দেখলাম সেদিন প্রথম এই মন্তব্যটি লিখেছিলাম। মার্টিনকে নিয়ে নতুন করে কি আর বলব তার দোষের মধ্যে সবচেয়ে বেশী চোখ যায় তার পানাসক্তের দিকে। দেখা যায় সে যখন নেশায় আসক্ত থাকে তখন তার সামনে দিয়ে কোন মহিলা হেঁটে গেলে মার্টিন মন্তব্য করতে একটুও সময় নেয়না। তবে তাকে চরম ফুর্তিবাজও বলা যায় না, ভালো করে হিসেব কষে দেখলে যোগফল পাওয়া যায় আসলে সে কিছুটা বোকা ধরণের মানুষ। আসলে এই কথাগুলো লিখলাম এর জোড়ালো কারণ আছে... হ্যারি লাইমের অন্ত্যেষিটর সময় যখন তাকে দেখেছি তখন তাই মনে হয়েছিল আমার কাছে। যা হোক, তখন শীতকাল, চারদিকে বরফ পড়েছে, ভিয়েনার কেন্দ্রীয় গোরস্থানে বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে লোকগুলো খুঁড়ছে। বরফ সরিয়ে দেখে মনে হল প্রকৃতিও হ্যারিকে চায় না। যাইহোক হ্যারিকে কবর দেওয়া শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে মার্টিন চলে গেল, মনে হলো যেন পালাল। বছর পঁয়ত্রিশের মার্টিন বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। পরবর্তীকালে এজন্য প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিল। কাউকে একথা সে বলেনি, বললে হয়তো ঝামেলা এড়াতে পারত। তার সম্বন্ধে জানতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে অনেক দূর। তখন ভিয়েনা, ব্রিটেন, রাশিয়া, আমেরিকা ও ফ্রান্সের মত বৃহৎ শক্তি কবলিত শহরের মাঝে ইনিয়ার স্টার্ডের বাড়িতে ছিল। এটি একটি সুইশ বাড়ি, তার অসীম ক্ষমতা। এর নির্দেশে এক মাস অন্তর এক একটা শক্তি ক্ষমতায় আসে, সেই মত কাজ করে। আমার কাছে শহরটা গৌরবহীন হয়তো এর পিছনে কোন কারণ আছে যা আমার অজানা।