আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ– এ প্রবাদের মর্ম আমাদের জানা। আজ যারা শিশু আগামী দিনে তারা বড় হবে। বড় হয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি হবে। যেমন আমরা একসময় শিশু ছিলাম, আজ বড় হয়েছি। অনুরূপভাবে আমাদের পূর্ববর্তীগণ শিশু থেকে ধীরে ধীরে বড় হয়ে বিশ্বসভায় অবদান রেখে পৃথিবী থেকে চলে গেছেন। একইভাবে আজকের শিশুরা বড় হয়ে সমাজসেবায় অবদান রাখবে। দেশ ও বিশ্ব চালনায় নেতৃত্ব দেবে। কিন্তু নির্মম সত্য হলো, সকল শিশু সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারে না। সঠিক দিক্নির্দেশনা ও উপযুক্ত অনুশীলের অভাবে অনেক শিশু চিরদিন শিশুই থেকে যায়। তারা সমাজ পরিচালনায় উপযোগী ভূমিকা রাখতে পারে না। উল্টো কেউ কেউ বিগড়ে গিয়ে সমাজকে কলুষিত করে। অনেক অভিভাবক শিশুর মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে সঠিক নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হন। শিশুকে কী পড়াবেন, কীভাবে পড়াবেন, তা ভেবে পান না। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো, শিশুরা যদি শিশুকাল থেকেই প্রিয়নবী সা.-এর জীবনাদর্শ জানতে ও বুঝতে পারে, তাহলে নিশ্চয় তাদের জীবনও অনুপম সুন্দর ও অনন্য মহিমায় উজ্জ্বল হবে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানবের জীবনাদর্শ পাঠের মাধ্যমে শুরু হোক আপনার শিশুর জীবন চলা। আপনার শিশু বেড়ে উঠুক এক মহামানবের আদর্শের উপর।
আতাউর রহমান আলহাদী একজন বাংলাদেশি কবি ও লেখক। ১৯৮৮ সালে মাদারীপুর জেলা সদরের চরগোবিন্দপুর গ্রামের একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠেন। ২০১১ সালে কওমি মাদরাসা থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী তাকমিল জামাত (দাওরায়ে হাদিস) সম্পন্ন করেন। অতঃপর তিনি আলিয়া মাদরাসা থেকে কামিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি শিক্ষকতা, অনুবাদ-সম্পাদনা ও লেখালেখির কাজ করেন। এ পর্যন্ত তার বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে। তার মধ্যে— মরুর ফুল, মক্কার দুলাল, মদিনার চিঠি, শিশুদের আদব সিরিজ, শিশুদের সিরাত সিরিজ— অন্যতম।