উৎসব হলো মানবজীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। মানুষ শুধু খেয়েপরে বেঁচেই সন্তুষ্ট থাকে না। সে অনেকের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে দিতে চায়। মানুষ দৈনন্দিন জীবনের গতানুগতিক একঘেয়েমির জীবন থেকে মুক্তি চায়। শ্রমক্লান্ত জীবনে পেতে চায় অনাবিল আনন্দ। নানান ধর্ম সম্প্রদায়ের বসবাস এই বাংলায়। বাঙালি জাতি নানারকম ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী। তাই ধর্মকেন্দ্রিক নানান উৎসবের আয়োজন চলে বছরের বিভিন্ন সময়ে। উৎসব আর বাঙালি একে অন্যের ছায়াসঙ্গী। উৎসব ছাড়া বাঙালি আর বাঙালি ছাড়া উৎসব ভাবাই যায় না। উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত। উৎসব বলতে আমরা সাধারণত সামাজিক, ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যগত প্রেক্ষাপটে পালিত আনন্দ অনুষ্ঠানকে বুঝে থাকি। বাঙালির নববর্ষের প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টানের একক কোনো উৎসব নয়। এর চরিত্র সার্বজনীন। সার্বজনীন এমন উৎসব পৃথিবীতে বিরল। আর তাই বাঙালি উৎসবে মেতে ওঠে। উৎসব মানুষকে আনন্দ দেয় প্রসারিত করে তার অস্তিত্বকে। উৎসব পালনের ক্ষেত্রে বাঙালি খুবই আন্তরিক এবং অকৃপণ। এ উৎসব প্রিয়তা বাঙালির ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে জাতীয় জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে।
যে ক’জন তরুণ লেখক অল্প সময়ে পাঠক মহলে জায়গা করে নিয়েছেন শামসুজ্জামান শামস তাদের মধ্যে অন্যতম। ২১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্ম নেয়া এ লেখক পেশায় সাংবাদিক । পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেকি চালিয়ে যাচ্ছেন শামস। ১৯৯৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯৫। বিরহের নীল আকাশ, মেয়েরা এমনই হয়, মেঘ ভাঙা রোদ, মন দিয়েছি তোমায়, মনময়ূরি, চাওয়া পাওয়া, একাত্তরের আলাল-দুলাল উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠক প্রিয়তা অর্জনকারী এ লেখক বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিকে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং পাক্ষিকের ঈদ সংখ্যায় গল্প, উপন্যাস এবং নানা বিষয়ের ওপর ১৯৯৫ সালে থেকে লিখছেন অবিরাম।