তিতুমির। অগ্রজ মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জানে আলমের দেয়া নাম। মুক্তিযুদ্ধে থাকাকালীন যে নামটি দিয়েছিলেন, সেই নামের ভার বহন করার সামর্থ্য জীবন গেলেও অর্জন করতে পারবো না!
সেই 'তিতুমির' নামেই পুরো প্রাথমিক বিদ্যালয় অধ্যয়ন করেছি। মাধ্যমিকে ভর্তি হতে গিয়ে নিজের পছন্দে নিজের নাম রেখেছিলাম মাজহারুল আলম তিতুমির।
পিতা শফিউর রহমান। মাতা ছালেহা খাতুন। দুজনেই প্রয়াত। যিনি আমার ‘বিষণ্ণ বিকেল’ নামের প্রথম গল্পগ্রন্থ পাঠ করে ডেকে নিয়ে মুগ্ধতার বয়ান দিয়ে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন সেই প্রিয় বড় ভাইটিও করোনাকালে প্রয়াত হলেন। সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ ওয়ার্ড দক্ষিণ পতেঙ্গার মাইজপাড়া পিতৃপুরুষের আদি নিবাস।
শহরের মধ্যে-গ্রামে বসবাস করে কথাসাহিত্যের স্রোতধারায় নিজের পালতোলা নৌকায় সবাইকে আকৃষ্ট করবো, তেমন দুঃসাহস কখনো করি না।
তবে জীবনযাপনের আঁকাবাঁকা আলপথে পায়ের ছাপে ক্ষয়ে যাওয়া দূর্বাঘাসের মতোন বিনাশ দেখে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সেই ক্ষতচিহ্নে হাত বুলিয়ে খানিকটা প্রশান্তি পেতেই লেখালেখির ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছি। মার্জনা করবেন।
এক মেয়ে ফারিয়া আলম রিমি, পুত্র তাহমিদুল আলম তাহা ও স্ত্রী শাহানা মৌসুমী লাভলিকে নিয়ে সংসার যাপনে মগ্ন রয়েছি। খুব সহজ সরল ও কঠিন পরিচয় মানুষ হিসেবে বেঁচে থেকে সব মানুষকে মনে-প্রাণে শ্রদ্ধা করতে চাই। 'করোনাকাল’ গল্পগ্রন্থ যদি সে দাবি পূর্ণ করে তবে মরেও স্বস্তি পাবো।