ভূমিকা শহিদুল শ্যানন এক সময়ের সাংবাদিক, বর্তমানের উন্নয়ন কর্মী। পেশা পরিবর্তন হলেও লেখার অভ্যাসটি তার হারিয়ে যায় নি। ইতিমধ্যেই তার অনুবাদ ও কবিতা পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। একই সাথে দীর্ঘ দিনের গ্রুপ থিয়েটার চর্চা তাকে আমাদের সামনে নাট্যকার ও নির্দেশক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সত্যি বলতে স্বল্পভাষী নাটকের শ্যাননই সব চেয়ে বেশি পরিচিত। এমন একজন ব্যক্তি আবার গল্প লিখতে যাবেন কেন! শ্যানন লিখেন কারণ তার গল্পের মানুষ ও জমিন খুব সহজেই সামনে হাজির হয়। অথবা এইভাবে বলা যায়, গ্রাম ও শহরের ছড়িয়ে থাকা এই সহজ মানুষগুলো তার দেখার চোখে এমনভাবে ধরা পড়ে তা প্রকাশ না করে উপায় থাকে না। কেন উপায় নেই? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে তার গল্পের মানুষগুলোকে জানতে হবে। ‘লাল নীল কাব্য’ গল্প গ্রন্থে রয়েছে এক ডজনের বেশি নানান রঙের গল্প। তার ভেতর ‘চন্দন শীল’ গল্পটি একদম অন্য ধাচের। একটি বালকের কোনো এক স্বপ্ন ও বাস্তব অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠার গল্প। যাতে জাদুবাস্তবতার ছোঁয়া মেলে। আবার ‘ঘণ্টা’ গল্পে আছে সাম্প্রতিক করোনা মহামারির হিম শীতল মৃত্যুর বাস্তবতা। এটি শ্যাননের পঞ্চম গ্রন্থ। বীণা পানির কৃপায় গল্পকারের কলম চিরজীবী হোক।
শহিদুল শ্যাননের লেখালেখির সূত্রপাত শৈশবেই। তারুণ্যে দৈনিক আজকের কাগজ-এ কাজ করেছেন । থিয়েটার করার সুবাদে বেশকিছু নাটক লিখেছেন তিনি। ঢাকা এবং অন্যান্য জেলায় সেগুলোর নিয়মিত মঞ্চায়ন হচ্ছে। এছাড়া গল্প, কবিতা, ফিচার, অনুবাদÑলেখার নানান মাধ্যমে কাজ করছেন। বর্তমানে লেখালেখি আর থিয়েটারের পাশাপাশি উন্নয়ন-যোগাযোগকর্মী হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ লাভ টু ভিয়েতনাম (অনুবাদ উপন্যাস) দ্য ফ্লাওয়ারস অব হিরোশিমা (অনুবাদ উপন্যাস)