যীশু তাঁর অন্তিম বেলায় শিষ্য বারজনকে নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসেন এবং শিষ্য বারজনের প্রতি অন্তিম আশীর্বাদ উচ্চারণ করেন। লন্ডনের মায়া ছেড়ে শেষবারের মতো চিরতরে জন্মস্থান স্ট্রাটফোর্ড-অফ-অ্যাভনে ফেরার দিনের নাটক ‘উইলিয়াম শেক্সপিয়র’। উইলিয়াম শেক্সপিয়র এর শেক্সপিয়র টেমস নদীর তীরে পরিশ্রান্ত-ক্লান্ত হয়ে বাবু হয়ে বসেন। বহমান স্র্রোতের ধারার মতোই স্মৃতিতে ভেসে চলে সেদিনে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হওয়া বারজন মানুষের, তাঁর প্রতি আশীর্বাদ উচ্চারণের কথা। কার্টেন এবং রোজ থিয়েটারের মালিক ফিলিপ হ্যান্সলো বলেন, ‘একদিন এই কার্টেনের ঘোড়াশালায় আমার কারণে তুমি পেয়েছিলে আশ্রয়। আজ যাওয়ার বেলায় সেই ঘোড়াশালায় দাঁড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গী হিসেবে চেয়ে নিলে আমারই প্রাণাধিক প্রিয় ঘোড়াটিকে। আজ তুমি এত ধনী তবু তুমি ঘোড়াটি নিলে বিনামূল্যে, আমার স্মৃতি আঁকড়াতে। এত বড় পুরস্কার আমি সারাজীবনেও পাইনি উইলিয়াম শেক্সপিয়র। অতীত ভুলে না যাওয়ার মোহমুক্ত হে শেক্সপিয়র, তুমি হয়ে থাকবে প্রতীক আনুগত্য এবং বিশ^স্ততার।’ থিয়েটার এবং গ্লোব থিয়েটারের মালিক-স্টেজ ম্যানেজার-অভিনেতা জেমস্ বারবেজ বলেন, ‘যে শিল্পী সময়টাকে বোঝে, সামনের মানুষটাকে বোঝে, জীবনটাকে লিখতে জানে এবং জানে কখন কোথায় কীভাবে থামতে হবে, সেই শিল্পীর শিল্পই হয় চিরন্তন এবং সর্বজনীন। উইলিয়াম শেক্সপিয়র তোমার রচিত নাটক চিরন্তন এবং সর্বজনীন’। লন্ডনের শ্রেষ্ঠ নাট্যাভিনেতা রিচার্ড বারবেজ বলছে, ‘তুমি আমার বাবার অনুরোধ মেনে, আমার অভিনয় শক্তি মাথায় নিয়ে চরিত্র চিত্রণ করেছ। সমকালে এবং ভাবীকালে প্রত্যেক অভিনেতা তোমার লেখা নাটকের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে, নাট্যকারের রচনা শক্তিতে জারিত হয়েই সেরা অভিনয়টাই করবে। উইলিয়াম শেক্সপিয়র তুমি সমকালকে সম্মান দিয়েছ, ভাবীকাল তোমায় সম্মান দেবে।’ তরুণ নাট্যকার ফ্লেচার বলছে, ‘আপনার সদ্য রচিত নাটকগুলো