আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলোর বিনোদনের মাধ্যম এক সময় ছিলো সাপখেলা, চৈত্র সংক্রান্তির মেলা, কবিগান, মাদারের গান, আলকাপ গান আর হরি বাসর। তবে যাত্রাগান ছিলো এ অঞ্চলের বিনোদন মাধ্যমগুলোর অন্যতম। ধীরে ধীরে প্রেক্ষাগৃহ সেই স্থান দখল করে। সেই প্রেক্ষাগৃহগুলো দিন দিন বন্ধ হতে হতে বর্তমানে হাতেগোনা কয়েকটি চালু রয়েছে। প্রেক্ষাগৃহগুলো কোন্ আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় গড়ে উঠেছিলো এবং বর্তমানে এর অবস্থা কেমন তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের নাম নিয়েও রয়েছে আলোচনা। মুখ ও মুখোশ থেকে শুরু করে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেই আলোচনায় চলচ্চিত্রের নামকে সিগনিফায়ার ধরে তার সিগনিফাইড অর্থাৎ নামের ধারণা বা অর্থের ওপর ভিত্তি করে এগোনো হয়েছে। পাশাপাশি সেমিওলজিকাল ধারায় টেক্সট আলোচনার ক্ষেত্রে সোস্যুর যে সিনক্রনিক (বিশ্লেষণমূলক) এবং ডায়াক্রনিক (ঐতিহাসিক) পদ্ধতির কথা বলেছেন, সেটাও প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন থেকে ৭৩ বছর আগে ফরাসি চলচ্চিত্রনির্মাতা জ্যঁ রেঁনোয়া ভারতবর্ষের অপরূপ সৌন্দর্যকে পশ্চিমা ডিসকোর্সের প্রভাবে দ্য রিভার-একীভাবে তুলে ধরেছেন, তা নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ রয়েছে।আছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নিয়েও আলোচনা। দেশভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু শরণার্থীদের অবস্থা কীভাবে তুলে ধরেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা ঋত্বিক কুমার ঘটক এবং বর্তমানে তারা কেমন আছেন; সে নিয়েও রয়েছে একটি প্রবন্ধ। সবমিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয়ে নিজেদের চিন্তা শাণিত করার রশদ পেতে পারেন পাঠক।