পত্রিকায় আমার প্রথম লেখা ছাপা হয়েছিলো ১৯৬৯ সালে। প্রয়াত এম আনিসুজ্জামান সম্পাদিত সাপ্তাহিক জনতা পত্রিকায় শান্তির সন্ধানে নামে প্রকাশিত হওয়া সেই গল্পটা ছিলো বাঙালির মুক্তিকে উপজীব্য করে। ৭২ সালে সাংবাদিকতা শুরু করার পর লেখালেখি পেশায় পরিণত হয়। এরপর ব্যবসায় ঢুকে ট্রাভেল এজেন্সী, মুদ্রণ, প্রকাশনার পথ পাড়ি দিয়ে ৮৩ সালে নিজেই প্রকাশ করি মাসিক নিপুণ ও ৮৭ সালে সাপ্তাহিক আনন্দপত্র পত্রিকা। খুব সঙ্গতকারণেই লেখালেখির অভ্যাসটা চলমান থাকে। এরপর আর থামিনি। পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হলেও দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখতে থাকি। ৮৭ সাল পর্যন্ত আমার নিজের ঝোকটা ছিলো রাজনীতিনির্ভর। কিন্তু তার পর থেকে ঝোকটা কম্পিউটার প্রযুক্তির দিকে সম্প্রসারিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে প্রযুক্তির রূপান্তরের সাথে সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রতি ব্যাপকভাবে আগ্রহ তৈরি হতে থাকে। বিশেষত ২০০৭ সালের পর আমি নিজেই পরিপূর্ণভাবে ডিজিটাল রূপান্তরকেই জীবনের মূল বিষয় হিসেবে গ্রহণ করায় লেখালেখির পুরোটাই ডিজিটাল রূপান্তরকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। করোনা আসার ফলে দেড়বছর সম্পূর্ণ গৃহবন্দী থাকার ফলে লেখালেখিও জোরদার হয়েছে। যদি অবস্থা স্বাভাবিক থাকতো তবে পত্রিকার কলামগুলো হয়তো এতোদিনে বই আকারে প্রকাশিত হয়ে যেতো। কিন্তু করোনার জন্য সেটি হয়ে ওঠেনি। এবার তাই বই প্রকাশের চাপটা বেড়ে গেছে। বইটিতে প্রধানত মানব সভ্যতা বা বিশেষত বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের বিভিন্ন বিষয়ের নিবন্ধগুলো সংকলিত হয়েছে। বইটিতে বঙ্গমাতা ও শেখ হাসিনার ওপরে আমার লেখা প্রথম দুটি নিবন্ধ যুক্ত করা হয়েছে। রয়েছে বাংলাদেশের প্রতœসম্পদ সংরক্ষণের সংকট ও হাওর বাংলার রূপান্তরের গল্প। আমার নিজের ধারনা পাঠক পাঠিকার রুচি অভিরুচি যাই হোক না কেন বইটির কোন না কোন নিবন্ধ তার পছন্দ হবেই। পাঠক পাঠিকারা বইটিকে তাদের প্রয়োজনের তালিকায় রাখলেই শ্রম সার্থক হবে। মোস্তাফা জব্বার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি জগতের কিংবদন্তীতুল্য ব্যক্তিত্ত্ব। একাত্তরের বীর মুক্তিযােদ্ধা জনাব মােস্তাফা জব্বার তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির জন্য পরিচিত হলেও তার কর্মকাণ্ড কেবল এই জগতেই সীমিত নয় । নিজগ্রামসহ দেশব্যাপী শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে তিনি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন । তার মাইলফলক কাজের মাঝে রয়েছে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রয়ােগ, প্রচলন ও বিকাশের যুগান্তকারী বিপ্লব সাধন করা, শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘােষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত মােস্তাফা জব্বারের পৈত্রিক নিবাস নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে ।। ১৯৪৯ সালের ১২ আগষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চর চারতলা গ্রামের নানার বাড়িতে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা আব্দুল জব্বার তালুকদার পাটের ব্যবসায়ী ও সম্পন্ন কৃষক ছিলেন। তাঁর দাদা আলিমুদ্দিন মুন্সি ছিলেন বিশাল ভূসম্পত্তির মালিক যার উপাধি ছিলাে তালুকদার। তার মা রাবেয়া খাতুন সমগ্র জীবন গৃহিনী হিসেবেই জীবন যাপন করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের কম্পিউটার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ টক শাে-এর মাধ্যমে তিনি কম্পিউটার প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে চলেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলাে বইয়ের লেখক, কলামিস্ট ও সমাজকর্মী জনাব মােস্তাফা জব্বার এরই মাঝে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখা ও বিজয় বাংলা কীবাের্ড ও সফটওয়্যার আবিষ্কার করার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেরা সফটওয়্যারের পুরস্কার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সােসাইটি আজীবন সম্মাননা পুরস্কার এবং ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয় আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন ।। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলি যােগাযােগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।