প্রতিরাতে ডেবেনহ্যাম-এ জর্জের ছোট্ট বৈঠকখানায় আমরা চারজন এসে মিলিত হই। আন্ডারটেকার, জর্জ, ফেটিস আর আমি। মাঝেমধ্যে আরো দুএকজন যোগ দেয় আমাদের সাথে। কিন্তু দমকা বাতাস বয়ে যাক, ঝড় আসুক, বৃষ্টি হোক কিংবা তুষারপাত-আমাদের চারজনের একত্র হওয়া চাই-ই চাই। ফেটিস হলো মাতাল স্কচ, যুবক বয়সে দু-চারদিনের জন্যে থাকতে এসে শেষমেষ স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে এই শহরে। বেশ শিক্ষিত সে, টাকা-পয়সাও ভালোই আছে। আর সেই টাকা-পয়সার ওপর নির্ভর করে অলসভাবে বসে বসেই সে কাটিয়ে দিতে চায় বাকি জীবনটা। তার আলখাল্লা পরা, অতিরিক্ত মদ্যপানের বদভ্যাস, নাস্তিকতা-সবই শুরু হয়েছে ডেবেনহ্যাম-এ আসার পর থেকে। অদ্ভুত কিছু প্রাচীন ধারণা আছে ওর। সেগুলো প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে টেবিল চাপড়াতেও পিছপা হয় না। প্রতি সন্ধ্যায় পাঁচ গ্লাস করে রাম খায় সে। যে কোনোদিন জর্জের বৈঠকখানায় ঢুকলেই ঢুলু ঢুলু চোখে ডান হাতে মদের গ্লাস ধরা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যাবে তাকে। মদ্যপানের সময় খুবই বিষণ্ণ হয়ে থাকে সে। আমরা সবাই তাকে বলি-ডাক্তার। কারণ, ওষুধপত্রের ওপর বেশ দখল আছে ফেটিসের। কারণ, ওষুধপত্রের ওপর বেশ দখল আছে ফেটিসের। জরুরি অবস্থায়, হাড় ভেঙে বা সরে গেলে, চিকিৎসা
Khosru Chowdhury ছোটবেলা থেকেই দক্ষিণ বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে জীবজন্তুর সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পান। ১৯৭১ সালের মহান মক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন কলেজ-ছাত্র অবস্থায়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য অনুষদের ছাত্র অবস্থায় ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মামা শিকারি আকতারুজ্জামানের হাত ধরে সুন্দরবন গিয়ে ভালোবেসে ফেলেন জল-জঙ্গলার বাঘ। ১৯৮৫ সালে অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকায় সুন্দরবন সংক্রান্ত লেখা দিয়ে তার লেখার জগতে প্ৰবেশ। তারপর দেশের উল্লেখযোগ্য প্রায় সব কটি পত্রিকায় বাঘ বা সুন্দরবন নিয়ে লিখেছেন। ছাত্র রাজনীতি করেছেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলন, চলচ্চিত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা করেছেন। দেশের অগ্রগণ্য বাঘ বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাঘ বাঘ রক্ষায় নিতয় চেষ্টা করে চলেছেন।