প্রথম ফ্ল্যাপের লেখাঃ ফজিলতে ইতিকাফ প্রসঙ্গে মানবিক গুণাবলী অর্জনের জন্য প্রয়োজন ধ্যান। সাধনা মানুষকে যেমন সোনার মানুষে পরিণত করে থাকে তেমনি নির্জনতায় নবী মুহাম্মদ (সঃ) ধ্যানের বলে মহান প্রভুর সঙ্গে ঘনিষ্টতা পান। ধ্যানের মধ্যেই তাকে পড়তে বলা হয় প্রভুর নামে। ধ্যানের বলে যে উন্নতি লাভ হয়, তা অন্য কোনোভাবে অর্জন সম্ভব নয়। রমজানুল মোবারকের শেষ দশদিন তাই মসজিদে ইতিকাফের দ্বারা পরকালিন মুক্তির কথা বলা হয়েছে। মুসলিম জীবনের শেষ সাধনা হলো পরকালিন মুক্তি লাভ। ইহকালিন কল্যাণ সাময়িক। পরকালিন জীবন অনন্ত জীবন। অনন্ত জীবনের মুক্তির জন্য তাই মুসলিম জীবনে সাধনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বিকার্য। রয়েছে নিয়মনীতি। সারাদিন রোযা রেখে মসজিদে রাত জেগে নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্যদিয়ে যে সময়টা পার করা হয় তাকে বলে ইতিকাফ। এ ইতিকাফ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল বাকের সরকার বাবর লিখেছেন ‘ফজিলতে ইতিকাফ। গ্রন্থটিতে ইতিকাফের তাৎপর্যকে সহজভাষায় দলিল প্রমাণ সমেত উপস্থাপন করা হয়েছে। গ্রন্থটি দ্বীনদার মুসলিম সমাজে গুরুত্ব পাবার দাবি রাখে। এ জাতীয় গ্রন্থ যারা লেখেন, তাদের উদ্দেশ্য থাকে মহান স্রষ্টার নৈকট্য অর্জন ও অনুকম্পা লাভ। লেখকের ইহলৌকিক ও পরলৌকিক ইচ্ছে পূৰ্ণ হোক এবং তিনি তার মহান স্রষ্ঠার নিকট থেকে উত্তম প্রতিদান লাভ করেন তা আমাদের প্রত্যাশা।