এখন বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠেছে মিটিংয়ের অন্যতম জায়গা। যেটাকে সবচেয়ে খারাপ, ভয়ঙ্কর, অর্থহীন এবং সময়ের অপচয়কারী রূপে দেখা হয়। আর সর্বোপরি, মিটিং একটি প্রয়োজনীয় কাজ, তবে একে মন্দ চোখে দেখা হয়। কোনোটাই ম্যানেজমেন্টের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়! সমস্ত মিটিং সমস্যা সমাধান, সিদ্ধান্ত নেওয়া, আইডিয়া বিনিময় এবং দ্রুত ফলাফল পাওয়ার জন্য শক্তিশালী হাতিয়ার হওয়া উচিত। কিন্তু কীভাবে? অর্থহীন মিটিংকে উৎপাদনশীল বিষয়ে পরিণত করার রহস্য কী? ব্রায়ান ট্রেসি বিশ্বজুড়ে কোম্পানিগুলোর জন্য পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে বহু বছর অতিবাহিত করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি নিজে শিখেছেন মিটিংয়ে কী কাজ করে-আর কী নয়৷ এখন, এই অমূল্য পকেট-আকারের গাইড বইয়ে, তিনি ম্যানেজার এবং অন্যান্য নেতাদের জন্য সহজ, প্রমাণিত আইডিয়াগুলো প্রকাশ করেছেন। কীভাবে সর্বোত্তমভাবে মিটিং করা যায় তা শিখতে: • বিভিন্ন ধরনের মিটিংয়ের বর্ণনা • মিটিংয়ে প্রাধান্যের বিষয়গুলো নির্দিষ্ট করুন • একটি অর্জনযোগ্য এজেন্ডা সেট করুন • আলোচনার পয়েন্ট এবং সিদ্ধান্তগুলোকে সংক্ষিপ্ত করুন • কর্ম-পদক্ষেপের বিষয়ে একমত হোন, উপযুক্ত ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব বরাদ্দ করুন এবং সময়সীমা নির্ধারণ করুন • যেই সময় বিনিয়োগ করেছেন, তার বিপরীতে সর্বোত্তম মুনাফা নিন • এবং আরও অনেক কিছু! যখন আপনি একটি মিটিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তখন আপনার উর্ধ্বতন এবং অধীনস্থরা আপনার কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করছে। মিটিং সার্থক করা মানে হচ্ছে কীভাবে আপনার পারফরম্যান্সকে আরও কার্যকর এবং আকর্ষক করতে কাঠামো, উদ্দেশ্য, উপস্থাপনা এবং আরও অনেক কিছু ব্যবহার করবেন।
ব্রায়ান ট্রেসি একজন কানাডিয়ান-আমেরিকান বক্তা এবং আত্মোন্নয়নমূলক রচনা লেখক। তিনি 'ব্রায়ান ট্রেসি ইন্টারন্যাশনাল' নামক সংস্থার চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী। এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ ও বিকাশে সহযোগিতা এবং সার্বিক উন্নয়নে কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করা। ব্রায়ান ট্রেসি নেতৃত্ব, ব্যক্তিত্ব, আত্মসম্মান, লক্ষ্য, কৌশল, সৃজনশীলতা এবং সাফল্য- মনোবিজ্ঞানের এই শাখাগুলোর তাৎপর্য অনুধাবনের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জনপ্রিয় এই বক্তার জন্ম কানাডার প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডে, তারিখটা ১৯৪৪ সালের ৫ জানুয়ারি। পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা থেকে। ১৯৮৪ সালে কানাডার ভ্যানকুভারে তিনি 'ব্রায়ান ট্রেসি ইন্টারন্যাশনাল' প্রতিষ্ঠা করেন। তার ৪০ বছরের বেশি কর্মজীবনে তিনি প্রায় ১,০০০ এরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে কাউন্সেলিং সেবা দিয়েছেন, এবং প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের সামনে বক্তব্য রেখেছেন। কানাডা, আমেরিকার বাইরেও প্রায় ৭০টি দেশে তার প্রচারিত আলোচনা অনুষ্ঠানের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ব্রায়ান ট্রেসি এর বই এবং তার আলোচনার ভিডিও ও অডিও ক্লিপ সারা বিশ্বের কর্পোরেট ও ব্যক্তিপর্যায়ের উদ্যোক্তা তরুণদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি বিশ্বব্যাপী প্রচারিত ও বিক্রিত ' সাইকোলজি অব এচিভমেন্ট'সহ প্রায় ৫০০টিরও বেশি অডিও ও ভিডিও প্রোগ্রাম তৈরি ও প্রযোজনা করেছেন, যা ২৮টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ব্রায়ান ট্রেসি এর বই সমগ্র হলো 'দ্য ২১ সাকসেস সিক্রেটস অব সেল্ফ মেইড মিলিওনিয়ারস', 'টাইম ম্যানেজমেন্ট', 'ইট দ্যাট ফ্রগ!', 'চেঞ্জ ইয়োর থিংকিং চেঞ্জ ইয়োর লাইফ', 'লিডারশিপ', 'কিস দ্যাট ফ্রগ', 'নো এক্সকিউজ : দ্য পাওয়ার অব সেল্ফ ডিসিপ্লিন' ইত্যাদি। ট্রেসির লেখা বইগুলো তার অনুপ্রেরণা জোগানো বক্তব্যগুলোর মতই আকর্ষণীয় ও শিক্ষণীয়। কর্পোরেট ম্যানেজমেন্টের জগতে আত্মোন্নয়নমূলক পন্থা বাতলে তরুণদের কাছে ব্রায়ান ট্রেসি এর বই সমূহ বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।