প্রথমজন এক স্কি ইনস্ট্রাক্টর; জগিং করতে গিয়ে নিঁখোজ হলো কলোরাডোর নির্জন পাহাড়ি এলাকা থেকে। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে অপহৃত হলো সন্তানসম্ভবা এক নারী; জনাকীর্ণ এক হাসপাতালের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থেকে। দুটো স্থান, দুটো ঘটনা, কিন্তু একটাই লক্ষ্য। আর এভাবেই হলো শুরুটা। পুরো আমেরিকার বিভিন্ন শহর থেকে একের পর এক অপহৃত হতে লাগলো নারী-পুরুষ-শিশু; তাদের বাড়ি, গাড়ি আর কর্মস্থল থেকে। তবে এগুলো মোটেও কোনো এলোমেলো অপহরণের ঘটনা নয় । এর পেছনে রয়েছে একদল অপরাধীর বিকৃত মানসিকতা। এই অপরাধ বাস্তবায়নের জন্য মাসের পর মাস তারা যুগপৎ গবেষণা আর পরিকল্পনা করেছে। তারপর হাত দিয়েছে মূল কাজে। উদ্দেশ্য একটাই। প্রতিশোধ। এই ভিকটিমদেরই একজন, অ্যারিয়েন ওয়াকার; অপহৃত হলো তার সুরক্ষিত অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। পুলিশের ভাষ্য তেমন কিছু করার নেই তাদের। কারণ অপহৃত হওয়ার কোনো রকম এভিডেন্সই নেই অ্যারিয়েনের অ্যাপার্টমেন্টে। তবে পুলিসের কথায় বসে বসে সময় নষ্ট করতে নারাজ জোনাথন পেইন। ট্রেইল মুছে যাওয়ার আগেই কাজে নামলো বান্ধবীকে উদ্ধারের জন্য। সাবেক সহকর্মী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডেভিড জোনসকে সাথে নিয়ে অভিযানে নামলো ইউ এস মিলিটারির স্পেশাল ব্রাঞ্চ ম্যানিয়াক-এর(MANIAC) সাবেক দুর্ধর্ষ ক্যাপ্টেন, জোনাথন পেইন। হাজির হলো নিউ অরলিয়েনসে। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হলো ওয়াকারদের অপহরণ রহস্য। সেই সাথে প্রকাশ্যে এলো সুদীর্ঘকাল গোপন থাকা লুইজিয়ানার এক চাঞ্চল্যকর সত্য: দ্য প্ল্যানটেশন ।