সব ফরয নামাযই গুরুত্বপূর্ণ, ফযীলতপূর্ণ। কিন্তু পারস্পরিক তুলনার বিচারে অন্যান্য ফরয নামাযের তুলনায় ফজরের নামাযের আছে বিশেষ মর্যাদা, স্বকীয়তা, শ্রেষ্ঠত্ব ও স্বাতন্ত্র্য। মহানবী (সা.) ফজরের নামাযের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন, যা অন্য কোনো নামাযের ক্ষেত্রে করেননি। নবীজীর হাদিস সমূহের আলোকে অন্যান্য ফরয নামাযের তুলনায় ফজরের নামাযের সুস্পষ্ট শ্রেষ্ঠত্ব অনুধাবন করা যায়। ফজরের আযান অন্যান্য নামাযের আযানের চেয়ে ব্যতিক্রম। সকল নামাযের আযানে 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ্'-এর পর অন্য কোনো বাক্য বাড়ানো না হলেও ফজরের নামাযের আযানে 'আসসালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম' বাড়ানো হয়। কি তার রহস্য; কখন থেকে আযানে এ বাক্য সংযোজিত হলো? সংকলক এ বইতে ফজরের নামাযের গুরুত্ব, ফযীলত ও মাহাত্ম্য তুলে ধরার পাশাপাশি নামাযের পরিচয়, নামাযের ফরয, শর্ত, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব, মাকরূহ তথা নামায বিষয়ক বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েল সংকলন করেছেন। এছাড়া ফজরের ওয়াক্ত, ফজরের সুন্নত-ফরয নামাযের নিয়মাবলী, ফজরে রাসূল (সা.), চার খলিফা (রা.), সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ও তাবেঈ (র.)-গণের কেরাত, সফরকালীন সময়ে ফজরের নামায, ফজর-সহ অন্যান্য নামাযে কেরাত সংক্ষিপ্ত করা এবং নামাযে সূরা নির্দিষ্ট না করার বিধান নিয়েও বইটিতে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে রেফারেন্স-সহ সংকলন করা হয়েছে। পরিশেষে বইটিতে রাসূল (সা.)-এর সকাল-সন্ধ্যার যিকর ও কিছু মাসনুন দু'আ, দুরুদ উল্লেখ করা হয়েছে, যা আমল করে পাঠক উপকৃত হবে, ইনশাআল্লাহ।