কুসুমকুমারী রায় চৌধুরী : প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক বেগম ফয়জুন নাহার বিভিন্ন আথর্- সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃিতক কমর্ণ্ডকান্ড ফলশ্রু তিতে ঊনিশ শতকের মধ্যভাগেই মূলতঃ প্রয়োজনের ভাষা ‘গদ্য’সাহিত্য শিল্পের মাধ্যম হয়ে উঠতে শুরু করে। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের মধ্যেই প্রবন্ধ-নাটক ও সমালোচনা সাহিত্য এবং সাময়িক পত্রের বাহন হিসেবে ‘গদ্য’ দৃঢ় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দু’ দশকের মধ্যেই আসে সার্থক উপন্যাস এবং পরবর্তী দশকে ছোটগল্প। সাহিত্য শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্র ও আঙ্গিকের আশ্রয় হিসেবে এ সময়কার সাহিত্যিকদের মধ্যে সঙ্গত কারণেই পুরুষরা সিংহভাগ অধিকার করে থাকলেও, মহিলারাও কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে থাকেন নি। তাই রাসসুন্দরীর ‘আমার জীবন’ (১২৮৩ বঙ্গাব্দ), কৃষ্ণকামিনী দাসীর ‘চিত্ত বিলাসিনী’ (১৮৫৬), কৈলাসবাসিনী দেবীর ‘হিন্দুমহিলাগণের হীনাবস্থা’ (১৮৬৩) প্রাথমিক বাংলা আত্মজীবনী ও প্রবন্ধ সাহিত্যের ধারায় সহজেই শামিল হয়ে যায়। এজন্যে ১৮৬৫ তে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দুর্গেশনন্দিনী’ ও ১৮৬৬ তে ‘কপালকুণ্ডলা’ প্রকাশিত হয়ে বাংলা গদ্যসাহিত্যে সার্থক উপন্যাসের যে ধারার সৃষ্টি হলমহিলা লেখিকারাও খুব শিগগীরই সে ধারায় অন্তর্ভূক্ত হতে এগিয়ে এলেন। কে প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক এবং মহিলা বিরচিত প্রথম উপন্যাস কোনটি, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনাকারীদের অধিকাংশ-ই এ সম্মানটি দিয়েছেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয়া কন্যা স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২) এবং তার রচিত ‘দীপ নির্বাণ (১৮৭৬