"পৌষপূর্ণিমা" গল্প নিয়ে কিছু কথা . সমকালীন যে ক'জন লেখক সাহিত্য অঙ্গনে মুগ্ধতার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন গল্পকার জোসেফ জাহাঙ্গীর (Joseph Jahangir) তাদের মধ্যে অন্যতম। "পৌষপূর্ণিমা" গল্পগ্রন্থটি তার অনন্য সংযোজন। "পৌষপূর্ণিমা" গল্পটিতে ভৌতিক দৃশ্যাবলী একদিকে যেমন গা ছমছম করে উঠে। তেমনি সৌরভের সাহসীকতাও রীতিমতো মুগ্ধ করেছে। সেই সাথে রাক্ষসীকে হত্যা করে শঙ্কাহীন সৌরভ "পৌষপূর্ণিমা" রাতে একাই সমস্ত তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করেছে। যা সত্যিই অপূর্ব। "সাদা মনের মানুষ" গল্পে একজন শিক্ষকের আত্মত্যাগের বিষয়টি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। আবুল হোসেন মাস্টার (হোসেন মাস্টার) মানুষ গড়ার কারিগর। সুরেন্দ কর্মকারের ছেলে নরেন্দ্র কর্মকার'কে স্বীয় আন্তরিক প্রচেষ্টায় শ্রম,মেধা দিয়ে নিঃস্বার্থভাবে মানুষ হতে সাহায্য করেছেন, যা একজন সৎ ও দায়িত্ববান শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি পাই। সেই কর্মকার নরেন্দ্র বাবু পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসক হয়ে স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে দেখতে আসেন। গল্পের এতোই অন্তঃসারে ঢুকে পড়েছিলাম কৃতজ্ঞতায় চোখে জল এসে যায়। "নিটোল প্রেমের গল্প" আমরা দেখতে পাই স্বপ্নবাজ তরুণ ফুটবলার শাহেদ এবং নিরুর প্রেমের গল্প। যা অনেকটায় লেখকের বাস্তব জীবনবোধ থেকে লেখা। শাহেদ এবং নিরুর মান-অভিমান, প্রেম-বেদনা-অপেক্ষা এগুলো আমাদের জীবনের একটা অংশ। কিন্তু সেই টুকরো টুকরো দারুণভাবে শিল্পের নৈপুণ্যে স্থাপন করেছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। "নীলফ্রেম" গল্পে এসে বিচিত্র এক ট্রাজিক অনুভূতি দেখতে পাই, বাবার মৃত্যুর পর সিন্দুকটা খুলে আজাদ রীতিমতো স্তব্ধ, কী ছিল সেই সিন্দুকে জানতে হলে পড়ুন?