ইউনিভার্সিটিতে অনার্স করার সময় আনিস আজিম মার্কিন পপস্টার মেরি স্টেনজার দুর্লঙ্ঘ্যনীয় প্রেমে পড়ে। লেখা-পড়া শেষ করে শিক্ষক হিসেবে সে বেসরকারি একটি কলেজে যোগ দেয়। সে সময় সে মেরি স্টেনজার একটি ছবি বাঁধায় করে এনে তার বেডরুমের ওয়ালে টাঙায়। কলেজে যাওয়ার পূর্বে এবং কলেজ থেকে ফিরে সে ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকে। মেরি স্টেনজাকে প্রবলভাবে কামনা করতে থাকে। তারপর একদিন অকল্পনীয়ভাবে সত্য-সত্যই সে ছবি থেকে বের হয়ে আসে রক্ত-মাংসের মেরি স্টেনজা। তারা লিভ ইন শুরু করে। পরবর্তীকালে একটি বিশেষ ঘটনার কারণে মেয়েটি চিরতরে হারিয়ে যায়। অন্যদিকে একই সময় বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ হওয়ায় হতাশ পপস্টার মেরি স্টেনজা সুইসাইডের প্ল্যান করছিল। সে সময় অকল্পনীয়ভাবে এক যুবককে সে তার বেডরুমে দেখতে পায়। পরে সেই যুবক মেরি স্টেনজার বেঁচে থাকার সুখ হয়ে ওঠে। কিন্তু ছোটো একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে একরাতে সে যুবক সুইসাইড করে। পরবর্তীকালে পুলিশ ইনভেস্টিগেশনে সেই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়। সে যুবকই আনিস আজিম। কিন্তু আনিস আজিম তো কখনো ইউএসএ যায়নি। সে মেরি স্টেনজার অ্যাপার্টমেন্টে সুইসাইড করবে কীভাবে? অ্যাডিশনাল ডিআইডি মশিউর রহমান ঘটনাটি তদন্ত করার দায়িত্ব পান। তিনি আনিস আজিমের সাথে কথা বলেন। মেরি স্টেনজার প্রতি তার অতুলনীয় প্রেমানুভব দেখে তিনি তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। স্টেনজার অনুকপি মেয়েটির সাথে আনিসের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তোলা ছবিগুলো তিনি তার কাছে পাঠিয়ে দেন। সে ছবি ও তার সাথে লিন ইন করা ছেলেটির সাথে আনিসের চেহারার অবিকল মিল দেখে মেরি স্টেনজা তাকে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করে। এ ঘটনার পর আনিস একদিন নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্লেনে চড়ে। রাত তিনটায় আনিসকে নিয়ে স্পেশাল প্লেনটি নিউইয়র্ক ইয়ারপোর্টে ল্যান্ড করে। তখন ইয়ারপোর্টে ওয়ার্ল্ড ফেমাস পপস্টার মেরি স্টেনজা বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুল জুলিয়েট রোজ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর তার পেছনে অপেক্ষা করছে হাজার হাজার পাগল ভক্ত। সেটা স্ত্রিনে দেখে অ্যাডিশনাল ডিআইডি মশিউর রহমান তার স্ত্রী গুলতেকিনকে বললেন, গুল দেখো, প্রকৃত প্রেম কখনো ব্যর্থ হয় না।