মানুষের মত পাখিদেরও রয়েছে নিজস্ব বাড়ি। ওদেরও রয়েছেনিজেদের ঘর-গৃহস্থালি। পাখিরা নিজেদের বাড়িতে পরম সুখে থাকে। পাখিরাজ্যে পাখিরা স্বাধীন। ওরা নিজের মতো করে বাঁচে। নিজের স্বপ্নের মতো করে তারা ঘর বাঁধে। মানুষেরা সখ করে নিজের বাড়িতে পাখি পুষতে চায়। তখনই ঘটে বিপত্তি। পাখির বাড়ি গহিন অরণ্যে, পাহাড়ে, ঝোঁপে, কখনো জলের ধারে। নিজের বাড়িতে পাখিরা সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করে। সেখানেই তাদের আনন্দ ও ভালো লাগা। মানুষ বনের অপার সৌন্দর্য সেই পাখিকে নিজের প্রাসাদোপমঘরে কিংবা সোনার খাঁচায় রাখলেও সেখানে পাখিরসুখ নেই। মানুষের বাড়িতে পাখির দেহ পড়ে থাকলেও তার আত্মা মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে বন থেকে বনান্তরে ছুটে বেড়ায়। কিন্তু ‘বোকা’ মানুষ তা বুঝতে চায়না। এমনসব নানা বিষয় নিয়ে পাখি এবংমানুষের দ্বন্দ্ব-মানসিকতাকেউপজীব্য করেশিশু কিশোরদের জন্য রচিত হয়েছে‘পাখিবাড়ির গল্প’ গ্রন্থের গল্পগুলো। এখানে সাক্ষাত ঘটে বিভিন্ন পাখি ও তাদের বিচিত্র চিন্তার এবং মানুষের সাথে পাখির ভালোবাসার সম্পর্কের, টানাপোড়েনও। ঘটনার নাটকীয়তা ও ডিটেইল গল্পগুলোকে ভিন্ন মাত্রার উচ্চতা দিয়েছে। গল্পগুলো পাঠকের মনের কথাই বলবে। ফলে পাঠক সহজেই গল্পগুলোতে একাত্ম হবে। একাত্ম হবেপাখি বিষয়ক সৃজনশীল বহুগ্রন্থের প্রণেতা মানজুর মুহাম্মদের মমতার তুলিতে আঁকা অভীষ্ট প্রকল্পের নতুন দার্শনিকতায়।