আল্লাহর শোকর, অবশেষে আমার পরম প্রিয় উসতায় এবং উসতাযুল আসাতিযা হযরত মাওলানা সুলতান যওক নদভী সাহেব দা.বা. এর আত্মজীবনী (প্রথম খন্ড) 'আমার জীবন-কথা’ নামে গ্রন্থাকাওে প্রকাশিত হচ্ছে। এটি হযরতেরই তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত মাসিক ‘আল হক' পত্রিকায় ইতিপূর্বে দীর্ঘ পঞ্চাশটি কিস্তিতে ছাপা হয়েছে এবং এখানো অব্যাহত রয়েছে। প্রার্থনা করি, কল্যাণের পথে তাঁর জীবন আরো দীর্ঘ হোক এবং আত্মজীবনী হোক আরো সমৃদ্ধ। তাঁর নাম এখন একটি নাম শুধু নয়, একটি স্বতন্ত্র চিন্তার শিরোনাম: তিনি এখন একজন ব্যক্তিমাত্র নন, একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁকে অবলম্বন করেই তিলে তিলে গড়ে উঠেছে আজকের 'দারুল মা'আরিফ'। তিনি মুসলিম জাহানের অভিভাবক পুরুষ হযরত মাওলানা সৈয়দ আবুল হাসান আলী রহ. এর 'ফায়যপ্রাপ্ত ও আস্থাভাজন'। তিনি বাংলাদেশের গৌরব এবং আরবিশ্বের চিন্তাশীল মহলে অত্যন্ত সমাদৃত।... মাসিক আল হকে'র পাতায় শুরু থেকেই এ আত্মজীবনী আমি যত্নের সাঙ্গে পড়ছি; শুধু পড়ছি নয়, পাঠ করছি এবং অধ্যায়ন করছি; সর্বোপরি নিজের মধ্যে তা ধারণ করার চেষ্টা করছি। যদিও এটা সত্য যে, তাঁর জীবন তাঁর জীবনীর চেয়ে সুন্দর, তবু বলতে চাই, তা থেকে আমি পেয়েছি জীবন সম্পর্কে নতুন শিক্ষা এবং পথ ও পাথেয় সম্পর্কে নতুন চিন্তা, আর পেয়েছি পথের মানযিল সম্পর্কে নতুন চেতনা। সাধারণভাবে আত্মজীবনী হলো নিজের জীবনের কাহিনী, কিন্তু মানুষ যত বড় হয় তাঁর জীবনে তত বেশী অন্য জীবনের আলো থাকে এবং ছায়া থাকে। ফলে তাঁর আত্মজীবনী হয়ে উঠে বহু জীবনের মিলনমোহনা, যেমন দেখি হযরত শায়খুল হাদীস রহ. এর 'আপবীতি' এবং হযরত আলী মিয়া রহ. এর কারওয়ানে যিন্দেগী'তে। ঠিক একই ধারায় না। হলেও, এ আত্মজীবনীটিও হয়ে উঠেছে বহু জীবনের মিলনমোহনা। সুতরাং এ আত্মজীবনী হতে পারে আমাদের অনেকের জীবনের জন্য একটি আলোকপ্রদীপ। আমাকে তিনি আদেশ করেছেন এসম্পর্কে কিছু লেখার জন্য; আল্লাহর শোকর, আমি তাঁর উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছি, তাই শুধু কৃতজ্ঞতার সঙ্গে নয়, কৃতার্থতারও সঙ্গে আদেশ পালন করে ধন্য হলাম। তুমি কবুল কর হে আল্লাহ! আবু তাহের মেছবাহ ২০/০৫/৩৫ হি.