কাহিনি-সংক্ষেপ নওমি প্রাপ্তবয়স্কা হয়। তার রহস্যময় শক্তিও পূর্ণতা পায়। তারপর সে একেরপর এক ঘটিয়ে ফেলতে থাকে অভাবিত সব ঘটনা। একবার তার সহপাঠী মুশফিকা একটি ঘটনার কারণে তাকে চড় মারতে উদ্যত হয়। তখন নওমির দুই চোখ ক্রোধে অগ্নিময় হয়ে ওঠে। ক্ষুব্ধ ও অগ্নিময় চোখে সে মুশফিকা সোবহানের দিকে তাকায়। একপলক সময়ের মধ্যেই নওমি দেখে, মুশফিকা সোবহান সেখানে নেই। তার দাঁড়ানোর স্থানে একটি ইঁদুর এবং ইঁদুরটি তার দিকে অবাক চোখে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। নওমি এ ঘটনা দেখে ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। একরাতে মাধবকু- থেকে শীমঙ্গল যাওয়ার পথে নওমি পরিবারসহ ডাকাতের কবলে পড়ে। সে সময় ডাকাতদের কর্মকা-ে ক্ষিপ্ত নওমি গাড়ি থেকে নেমে এক ডাকাতকে প্রচ- জোরে চড় মারে এবং দাঁত কটমট করে তাকায়। আর তখনই ডাকাতটি কুকুরে রূপান্তরিত হয়ে নওমির দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। ফলে ভয় পেয়ে ডাকাত দল যে যেদিকে পারে পালাতে থাকল। আবার প্রতিবেশী সেলিম সাহেবের ছোটো ছেলে বন্ধন নওমির ঘরে গিয়ে তার সাথে অসৌজন্য আচরণ করলে সে রেগে গিয়ে তাকে চড় মারে। ফলে সেও ইঁদুরে রূপান্তরিত হয়ে যায়। একসময় নওমির অভাবিত ক্ষমতা দেখে তার পিতা-মাতা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সামাজিক বিড়ম্বনা সৃষ্টির সম্ভাবনাও দেখা দেয়। ফলে একদিন নওমি প্রকৃতির সাথে মিশে যায়। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো, নওমি প্রকৃতির মাঝে মিশে যাওয়ার পর সবাই তাকে ভুলে যায়। নওমিকে কেউ মনে রাখেনি।