কাহিনি সংক্ষেপ: শাহু কৈশোরকাল থেকেই তার বাবার বন্ধু শওকত হোসেনের মেয়ে সাবাতানিকে পছন্দ করত। তবে বুয়েটে ভর্তির পর শাহু গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। তখন সাবাতানিকে তার পছন্দের ব্যাপারটি আড়ালে পড়ে যায়। শাহু লেখাপড়া শেষ করে একটি ডেভলপার কোম্পানিতে চাকরি নেয়। অবসরপ্রাপ্ত জনৈক ব্রিগেডিয়ারের মেয়ে রিকিকে বিয়ে করে। পরবর্তীকালে শাহু নিজেই ল্যান্ড ডেভলাপিং বিজনেস শুরু করে। একসময় সে দুবাই কেন্দ্রিক গোল্ড স্মাগলার সিন্ডিকেটের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও হয়ে ওঠে। ফলে বিপুল অর্থ এসে তার হাতে ধরা দেয়। অনেকদিন পর শাহু গ্রামে যায়। সাবাতানির সাথে দেখা হয়। তখন সে ঢাকা ইউনিভার্সিতে পড়ে। রোকেয়া হলে থাকে। পরবর্তীকালে শাহু সাবাতানির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকে। নতুনভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। সে সময় পারিবারিক আয়োজনে দুবাই-এ চাকরিরত ইঞ্জিনিয়ার রেজা ওয়াহিদের সাথে সাবাতানির বিয়ে হয়ে যায়। শাহু সাবাতানির বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। তাই সে তার দুবাইয়ের স্মাগলিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রেজা ওয়াহিদকে খুন করায়। তারপর রেজা ওয়াহিদের মৃতদেহ দুবাই থেকে নিয়ে আসা, গ্রামে নিয়ে গিয়ে কবরস্থ করার ক্ষেত্রে শাহু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে একসময় সাবাতানির মনে হয় তাকে পাওয়ার জন্য শাহুই রেজা ওয়াহিদকে খুন করিয়েছে। কিন্তু প্রত্যক্ষ প্রমাণ হাতে না থাকায় সাবাতানি শাহুর বিপক্ষে আইনি-ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে অভাবিত উপায়ে সাবাতানি প্রতিশোধ নেয়।