কাহিনি-সংক্ষেপ: /b> সেবার বৈশাখ মাসে প্রচণ্ড গরম পড়ে। রূপা সে গরমে অস্থির হয়ে ওঠে। সে সময় একদিন দুপুরে আকাশ কালো করে মেঘ নেমে আসে। রূপা তাদের বাড়ির ছাদে ভিজতে যায়। বৃষ্টিতে ভেজার সময় আমচকা প্রতিবেশী যুবক সরব এসে টেনে-হিঁচড়ে রূপাকে ছাদের রুমে নেয়। তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তখন বৃষ্টিধারার সাথে অকল্পনীয়ভাবে ছাদে নেমে আসে যুবতী এক মেয়ে। মেয়েটি সরবের গলা চেপে ধরে শূন্য করে রুমের বাইরে আনে। একহাতে তাকে উচু করে ধরে রাখে। তখন সরব ক্রমাগত বৃষ্টির পানিতে গলে যেতে থাকে। একসময় সরব গলে নিঃশেষ হয়ে বৃষ্টিধারার সাথে মিশে পাইপ দিয়ে নেমে যায়। এ ঘটনা দেখে রূপা জ্ঞান হারায়। একরাতে মেয়েটি বাতাসের সাথে মিশে রূপার বিছানায় এসে বসে। রূপা তাকে ভয় পায় না। এর মধ্যে সে তার সত্তায় মেয়েটির ছায়া দেখেছে। ফলে মেয়েটির প্রতি তার কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছিল। রূপা তার পরিচয় জানার জন্য উদ্গ্রীব হয়। মেয়েটির সাথে রূপার কথা বলে। রূপা জানতে পারে, এই মেয়েটি জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা নাট্যম চৌধুরীর মেয়ে সিন্ধুরাগিনী। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তার অতৃপ্ত আত্মা তখন রূপার মতোই জমিদার বাড়িতে বাস করে। আর তিনি কখনো রূপার কোনো ক্ষতি হতে দিবেন না। ফলে তাদের মাঝে ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে। পরবর্তীকালে সিন্ধুরাগিনীর নিকট থেকে রূপা জানতে পারে সরবের ঘটনা। সরব নয়, সেদিন দুপুরে তাদের নায়েবের ছেলে সুখেন্দ্রের আত্মা সরবের রূপ নিয়ে তার শ্লীলতাহানি করতে চেয়েছিল। আর তাকেই তিনি পানিতে গলিয়ে পাইপ দিয়ে নামিয়ে দিয়েছিলেন। সিন্ধুরাগিনী তো জীবন্ত মানুষের কোনো ক্ষতি করেন না। এ উপন্যাসের পরবর্তী ঘটনাবলি নাটকীয়, রোমাঞ্চকর এবং অলৌকিকতায় পূর্ণ—যা পাঠককে আনন্দ-রাজ্যে পৌঁছে দিবে।