কাহিনি-সংক্ষেপ : ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট বাবার একমাত্র সন্তান রাফিয়া পারিজাত, রাফা। একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে পড়ে সে। কিন্তু তার মন ছেলেমানুষি আর দুষ্টুমিতে ভরপুর। বন্ধুদের সাথে মজা করতেও সে ওস্তাদ। কোনো কিছুকেই সে সিরিয়াসভাবে নেয় না। একদিন ঘুম থেকে খুব ভোরে জেগে সে দেখল তার প্রাইভেট টিউটর আসলাম শিহির ম্যাসেনজারে আছেন। আর এ ঘটনার আগের সন্ধ্যায় সে হাস্যকর একটি গান শুনেছে। তাই তখনি তার মাথায় দুষ্টুমি ঢেউ দিল। সে আর দেরি করতে পারল না। তখনি আসলাম শিহিরকে ফোন করে বলল, বাবু খাইছ ? আসলাম শিহিরের প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি রাফা মাথায় রেখেছিল। তাই খুব শান্তভাবে তার সাথে কথা শেষ করে। তারপর আর কাকে কাকে ফোন করে কথাটি বলা যায় সে ভাবতে থাকে। রাফার বাবা রাশাদ সিদ্দিক তখন ঘুমাচ্ছিলেন। ছোটো একটি শিপমেন্টের কারণে গতকাল তার খুব ধকল গেছে। অনেক রাতে বাসায় ফিরেছেন। তবু প্রাইভেট টিউটর আসলাম শিহিরের পর রাফা ফোন করল তার বাবাকে। তার ফোনে ঘুম ভেঙে গেলে রাশাদ সিদ্দিক বিরক্ত হলেন। অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী হলে এত সকালে ফোন করার জন্য কষে একটা ধমক দিতেন। তবে রাফার ফোন দেখে তিনি ধমক দিলেন না। শান্ত কণ্ঠে ফোন রিসিভ করলেন। বললেন, গুড মর্নিং মামনি ? আর তখনি রাফা বলল, বাবু খাইছো ? রাফার এমন কথা শুনে রাশাদ সিদ্দিক বিস্মিত হলেন। ঘটনাটি শেয়ার জন্য তখনি তিনি রাফার আম্মুকে ডাকলেন। এই চটুল স্বভাবের মেয়েটি ইশরাক নামের এক ধনবান পরিবারের ছেলের প্রেমে পড়ে। তারপর ক্রমশ সে বদলে যেতে থাকে। একসময় সে দায়িত্বশীল মানুষ হয়ে ওঠে সে। প্রেম তাহলে কি মানুষকে বদলে দেয় ? পড়া যাক রাফার বদলে যাওয়ার অসাধারণ মজাদার প্রেমের গল্প।