কাহিনি সংক্ষেপ করোনাকালে বাসা-বন্দি অবস্থায় মনোবিকলনের শিকার হয় ফেরদৌস হাসান। সে সময় একদিন ভোরে ফেরদৌস তার রুম সংলগ্ন পাশের ফ্ল্যাটের রুম থেকে এক মেয়ের মিষ্টি কণ্ঠের গান শোনে। সদ্য ঘুমভাঙা অবস্থায় সে গান তাকে ঘোরে ফেলে দেয়। গানের শিল্পী মেয়েটিকে দেখার জন্য সে প্রবল কৌতূহল অনুভব করে। একসময় তাদের দেখা হয়। মেয়েটি দেখতে অবিকল বলিউড নায়িকা কাজল আগরওয়ালের মতো। তার নাম আলতামিরা। পরবর্তীকালে তাদের প্রেম হয়ে যায়। একদা গভীর রাত পর্যন্ত আলতামিরার সাথে কথা বলে ফেরদৌস ঘুমায়। কিন্তু পরেরদিন সকালে আলতামিরার রুমের ফ্লোরে হাতুড়ি-পেটার শব্দে ফেরদৌসের ঘুম ভেঙে যায়। তখন সে দেখে, সেখানে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে পুরনো ফ্লোর ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সে তখন জানতে পারে, আগের ভাড়াটে চলে যাওয়ার পর ফ্ল্যাটটি আর ভাড়া দেওয়া হয়নি। বাড়িওয়ালার মেয়ে সে ফ্ল্যাটে উঠবে বলে ফ্লোরে নতুন টাইলস লাগানোর প্রস্তুতি চলছে। ফেরদৌস হ্যালোসিনেশনের জটিল পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। অবশ্য ফেরদৌসের নিজের কাছেও হ্যালোসিনেশনের বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। তার মা-বাবাও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে ফেরদৌসের স্কুল শিক্ষিকা মায়ের প্রিয়ছাত্রী ও মনোরোগ চিকিৎসক নাজনিন তাকে সুস্থ করার দায়িত্ব নেয়। তাকে নিজের কাছে রাখে। শরীরের ঘোরে ফেলে। তবে এবার ফেরদৌস একপাক্ষিকভাবে ডাক্তার নাজনিনের প্রেমে পড়ে যায়। সে আলতামিরাকে দেওয়া রিংটা তাকে দিতে চায়। কিন্তু নাজনিন সেটা নিবে কেন?