কাহিনি-সংক্ষেপ সমাজের নানা স্তরে নানা অনিয়ম, অসততা ও দুর্নীতি জেঁকে বসেছে। প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকার পাতায় সে সব সংবাদ পাঠ করে হতাশ হয়ে পড়ে। শেষে সে সিদ্ধান্ত নেয়, সে তার ভক্তদের নিয়ে ট্রেনিং-এর আয়োজন করবে। তাদের প্রশিক্ষিত করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িবে দিবে। তারা অনিয়ম, অসততা ও দুর্নীতির নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে সমাজে সচেতনা সৃষ্টি করবে। সেই পরিকল্পনা কথা নীলু একদিন তার বন্ধু ও ভক্ত ইউনুস আলীকে বলে। তারপর ইউনুস আলী তার বাসস্থান সংলগ্ন একটি রুমে নীলুকে তার ভক্তদের টেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। তাদের নীলু তখন তার ভক্তদের ট্রেনিং দিচ্ছিল। তখনি সে তার ট্রেনিং সেন্টারের আশেপাশে ধপধপ খটখট শব্দ শুনতে পেল। তার বন্ধু ও ভক্ত ইউনুস আলী রুম থেকে বের হয়ে দেখল, র্যাবের সশস্ত্র একটি টিম ট্রেনিং সেন্টারের চারপাশ ঘিরে ফেলেছে। সে কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই কয়েকজন র্যাব সদস্য কমান্ডো স্টাইলে ট্রেনিং সেন্টারে ঢুকে পড়লেন। নীলুকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরে রাখা হলো। আর তথ্য শতভাগ সঠিক ছিল। নীলুর নামসর্বস্ব ট্রেনিং সেন্টারে প্রকৃতঅর্থেই জঙ্গি ট্রেনিং চলছে। যাতে কেউ সন্দেহ না করে সে জন্য রুমটির কোনায় দুটি স্টুডেন্ট ব্যাগভর্তি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সপ্লোসিভ রাখা হয়েছে—যা দিয়ে কমপক্ষে একশটি বোমা তৈরি করে কয়েক হাজার মানুষকে মেরে ফেলা যাবে। নীলু গ্রেফতার হলো। তবে পরবর্তীকালে বেরিয়ে এলো সত্য। নীলুকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে আসলে ভক্তদের মনে সততা ও নীতিবোধ তৈরির কাজ করছিল। ফলে র্যাব কর্তৃপক্ষ খুশি হলেন। নীলুকে তারা স্থায়ী একটি ট্রেনিং সেন্টার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। উল্লেখ্য যে, এ উপন্যাসটি নীলু সিরিজভুক্ত। তাই এই উপন্যাসের নীলুও মাহেন্দ্রক্ষণে জন্মলাভকারী বিরল সংখ্যক মানুষদের একজন। সম্ভবত সে কারণে ‘গ্যালাকটিক ফেডারেশন’ নামের ভিনগ্রহের প্রাণীদের সংগঠনের প্রধান লিনিমিক-এল তাকে পৃথিবীর এজেন্ট নির্বাচন করেছেন। অবশ্য নীলু বিষয়টি জানে না। তবে সে প্রায়শ তার সত্তায় অসাধারণ ক্ষমতা অনুভব করে। তখন নিজের অজান্তেই সে ঘটিয়ে ফেলে অভাবিত-অলৌকিক ঘটনা।