আজাদি। আজাদি। আজাদি! পাকিস্তান জিন্দাবাদ। হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ। ইন্ডিয়ার কুকুরেরা, ফেরত যাও, ইন্ডিয়ান কুকুরেরা, ফেরত যাও। পোস্টারে ছেয়ে গেল আমাদের গ্রাম। নূর চাচার কপালে চিন্তার ভাজ পড়ল। তিনি বললেন, "লক্ষণ খারাপের দিকে যাচ্ছে।" উপন্যাসের দৃশ্যপটে এমনই একটা সিচুয়েশনে এসে দাঁড়ায়। একদিকে স্বাধীনতাকামী মানুষেরা অন্যদিকে ভারতীয় আর্মি। একেএকে সীমান্তঘেঁষা গ্রাম, নওগ্রাম থেকে হারিয়ে যেতে থাকে কিশোরের দল। ওরা কোথায় গেছে সবাই জানে। কিন্তু কেউ যেন ভয়ে মুখে নেয় না। অন্যদিকে নওগ্রামের খুব কাছেই ঘাঁটি গাড়ে বর্বর ভারতীয় আর্মি ক্যাপ্টেন কাদিয়ান। লাশের স্তূপ বড় হয়, গ্রাম ছেড়ে মানুষ পাড়ি জমায় অজানা গন্তব্যে। নিজের ভিটে মাটি ছেড়ে যেতে কেউ কেউ হুহু করে কেঁদে ওঠে। উপন্যাসটা পড়লে আপনি পুরো কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিজ চোখেই দেখবেন, দেখবেন কত কত গিরিখাত পার হয়ে যুবকেরা পাকিস্তানের দিকে ছুটছে, আশা একটাই মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ফেরত এসে মাতৃভূমিকে দখলমুক্ত করার। উপন্যাসের আরেক কিশোর পণ করে নেয় যে করেই হোক, ক্যাপ্টেন কাদিয়ানকে হত্যার মাধ্যমে এই অবিচারের প্রতিশোধ নেবে সে। সে কি সত্যিই প্রতিশোধ নিতে পেরেছিল? এক ভোরে মুক্তিকামী যে কাশ্মীরি যোদ্ধাবাহিনী নওগ্রামে এসে উপস্থিত হয়েছিল, তারা কি ভারতীয় আর্মির হাতে ধরা পড়েছিল? কিংবা সে মুসাফিরের দলের কথাই ধরা যাক, যারা ভাগ্যের অন্বেষণে পাকিস্তানের দিকে ধেয়ে গেছে, তারাও কি পেরেছিল নিজের মঞ্জিলে পৌঁছাতে? এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেবে কাশ্মীরি লেখকের উপন্যাস "দ্যা কোলাবরেটর"।