মানব জাতির একটি স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হলো, তারা গল্প, কাহিনী, মর্মস্পর্শী ঘটনা ইত্যাদির প্রতি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী আগ্রহী। গল্প শুনতে বা পড়তে কে না ভালবাসে! তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো যদি এসব গল্প কাহিনী অসত্য, ভুতুড়ে, বানোয়াট, কাল্পনিক, অশ্লীল, ঈমান বিধ্বস্ত ও চরিত্র বিধ্বংসী হয় তাহলে এতে সাময়িক আনন্দ লাভ হলেও এর ফলাফল আর পরিণতি অত্যন্ত খারাপ হয়। গল্পের নামে বিভিন্নভাবে বস্তাপঁচা নষ্ট ও অপসংস্কৃতি আমাদের সমাজকে কলুষিত করছে, অন্ধকারের পথে ঠেলে দিচ্ছে যুবসমাজকে । এগুলো মানুষকে অসভ্য, অমার্জিত ও চরিত্রহীন মানবরূপী পশুতে পরিণত করছে। পক্ষান্তরে গল্প যদি হয় সেই সোনালী যুগের ইতিহাসের পাতা থেকে কুড়িয়ে আনা তবে এগুলো আপনাদের শুধু আনন্দই দেবে না বরং সাথে সাথে আপনাকে সত্য ও সুন্দরের প্রতি আকৃষ্ট করবে, তাকওয়াপূর্ণ এক একটি গল্প পড়ে আপনার জীবন ঈমানের রঙে রঙিন হয়ে উঠবে। হাদিসের আলোকে বর্নিত গল্পগুলো বদলে দেবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি। গল্পগুলো আপনার দুর্বল ঈমানকে সতেজ করে তুলতে সাহায্য করবে। সৎ, চরিত্রবান ও আদর্শ মানুষরূপে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। ফলে ধীরে ধীরে আপনার জীবন লোভ-ক্রোধ, হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার ও পরনিন্দার ন্যায় মারাত্মক দোষগুলি থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা, পরোপকার, সততা, সত্যবাদিতা, বিশ্বস্ততা, খোদাভীরুতা, ইবাদতে একনিষ্ঠতা, পিতা-মাতার প্রতি আনুগত্য, সৃষ্টিজীবের প্রতি দয়া প্রভৃতি মানবীয় গুণে গুণান্বিত হতে উঠবে। সোনালী যুগের চমৎকার কিছু গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে 'গল্পে গল্পে তাকওয়া' বইটি। আশা করি সোনালী দিনের তাকওয়াপূর্ণ গল্পগুলো পড়ে পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে ইং শা আল্লাহ। বইটি নিখুঁত ও নির্ভুল ভাবে পাঠকের হাতে তুলে দিতে চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও মানুষের কাজ কখনো ত্রুটিমুক্ত হয় না। তাই পাঠক মহোদয় অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। নজরে পড়া ত্রুটিগুলো জানিয়ে কৃতার্থ করবেন। রাব্বি আল্লাহ ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিবেন এ আশায় ইতি টানছি। যাইনাব বিনতে মুহাম্মাদ আলী